সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: প্রকাশ্যে নদী দখল চলছে। কালিয়াগঞ্জের গুদরি বাজার এলাকায় শ্রীমতি নদীতে ট্র্যাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। নদীর বুকে নামানো হয়েছে আর্থ মুভার। একসপ্তাহ ধরে এই কাজ চলছে। বিষয়টি নজরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের।
কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দেন। এলাকায় যান পুলিস এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরাও।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আমি স্থানীয় বাসিন্দা ও কাউন্সিলারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এলাকায় পৌঁছে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। নদী ভরাট করে অবৈধ দখলদারি কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না। কালিয়াগঞ্জের বিএলএলআরও সুমন তামাং বলেন, এলাকায় গিয়ে এই অবৈধ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কারা, কোন উদ্দেশ্যে এই কাজ করছিল তা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিসে জানানো হয়েছে ।
এক সময় কালিয়াগঞ্জ শহরের এই গুদরি বাজারে ছিল বন্দর। শ্রীমতি নদীর এখানেই এসে থামত নৌকো, জাহাজ। কালের বিবর্তনে শ্রীমতি এখন শ্রীহীন।
নদীতে জল নেই। এখন আগাছা ও কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। বর্ষায় সামান্য জল থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে ট্র্যাক্টরে করে মাটি ফেলে নদীতে ফেলা হচ্ছে। তারপর আর্থমুভার নামিয়ে মাটি সমান করছে জমি মাফিয়ারা। রাজ্য সড়কের ধারেই তেজপাতা বাগানের পিছনে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছিল এই অবৈধ কাজ। কীভাবে দিনের বেলায় এই অবৈধ কাজ চলল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
কালিয়াগঞ্জের নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রসূনকুমার দাস বলেন, গত এক বছর ধরে নদী দখল করার বিভিন্ন কৌশল বের করে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। প্রশাসনের উচিৎ নদী দখল ও নদী ভরাট বন্ধ করা।
এর আগে শ্রীমতী নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয় কালিয়াগঞ্জ পুরসভা। নদীর বুকে করা হয় ড্রেজিং। কিন্তু শ্রীমতি নদী দখল করে গত দু’বছর ধরে চলছিল চাষাবাদ। বাড়ছিল জমি দখলের প্রবণতা।
শ্রীমতী নদীর ধারে কালিয়াগঞ্জ শহর দিনদিন বাড়ছে। এই নদীকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে অনেক গল্পও রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ ব্যাঙ্গানীর কথায়, কয়েকবছর আগেও এই নদী দিয়ে স্রোত বয়ে যেত। এখন ক্রমশ গতি হারাচ্ছে শ্রীমতি। মাফিয়ারা নদী বুজিয়ে ফেলে জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। নদী দখলের এই চিত্র দেখে মন খারাপ শহরবাসীর। তাঁদের আশঙ্কা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না করলে হয়তো নদীটাই হারিয়ে যাবে। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখছে। নিজস্ব চিত্র
কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান রামনিবাস সাহা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দেন। এলাকায় যান পুলিস এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরাও।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আমি স্থানীয় বাসিন্দা ও কাউন্সিলারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এলাকায় পৌঁছে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। নদী ভরাট করে অবৈধ দখলদারি কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না। কালিয়াগঞ্জের বিএলএলআরও সুমন তামাং বলেন, এলাকায় গিয়ে এই অবৈধ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কারা, কোন উদ্দেশ্যে এই কাজ করছিল তা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিসে জানানো হয়েছে ।
এক সময় কালিয়াগঞ্জ শহরের এই গুদরি বাজারে ছিল বন্দর। শ্রীমতি নদীর এখানেই এসে থামত নৌকো, জাহাজ। কালের বিবর্তনে শ্রীমতি এখন শ্রীহীন।
নদীতে জল নেই। এখন আগাছা ও কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। বর্ষায় সামান্য জল থাকে। গত এক সপ্তাহ ধরে ট্র্যাক্টরে করে মাটি ফেলে নদীতে ফেলা হচ্ছে। তারপর আর্থমুভার নামিয়ে মাটি সমান করছে জমি মাফিয়ারা। রাজ্য সড়কের ধারেই তেজপাতা বাগানের পিছনে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছিল এই অবৈধ কাজ। কীভাবে দিনের বেলায় এই অবৈধ কাজ চলল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
কালিয়াগঞ্জের নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রসূনকুমার দাস বলেন, গত এক বছর ধরে নদী দখল করার বিভিন্ন কৌশল বের করে ফেলেছে দুষ্কৃতীরা। প্রশাসনের উচিৎ নদী দখল ও নদী ভরাট বন্ধ করা।
এর আগে শ্রীমতী নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয় কালিয়াগঞ্জ পুরসভা। নদীর বুকে করা হয় ড্রেজিং। কিন্তু শ্রীমতি নদী দখল করে গত দু’বছর ধরে চলছিল চাষাবাদ। বাড়ছিল জমি দখলের প্রবণতা।
শ্রীমতী নদীর ধারে কালিয়াগঞ্জ শহর দিনদিন বাড়ছে। এই নদীকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে অনেক গল্পও রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ ব্যাঙ্গানীর কথায়, কয়েকবছর আগেও এই নদী দিয়ে স্রোত বয়ে যেত। এখন ক্রমশ গতি হারাচ্ছে শ্রীমতি। মাফিয়ারা নদী বুজিয়ে ফেলে জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। নদী দখলের এই চিত্র দেখে মন খারাপ শহরবাসীর। তাঁদের আশঙ্কা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না করলে হয়তো নদীটাই হারিয়ে যাবে। কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তর দেখছে। নিজস্ব চিত্র
