যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
ফি বছর বর্ষায় ভুটানের জল ঢুকে ডুয়ার্সের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট, বিন্নাগুড়ি, চামুর্চি ছাড়াও আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, জয়গাঁ, কালচিনি, ফালাকাটা, বীরপাড়া, কুমারগ্রাম এলাকার নদী সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এছাড়াও বছর বছর ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা মাটি, পাথর, বালি, ডলোমাইট চূর্ণয় এখানকার নদীবক্ষ পরিপূর্ণ হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখও দিল্লিতে ভারত ও ভুটানের গ্রুপ অব জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানেও ভূটান থেকে ডুয়ার্সে নেমে আসা জলের ব্যাপারে আলোচনা হয়।
আর তাই বর্ষা শুরুর আগেই নানা পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ফান্ড ছাড়া ভুটানের কারণে ডুয়ার্সের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড়সড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে।
এদিন উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক সহ আরও উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়াররা ডুয়ার্সের নদী বাঁধের পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, আমরা বর্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধের কাজ তদারকি করেছি। ভূটান সীমান্তবর্তী চামুর্চির কাছে রেতি, সুকৃতি, বানারহাটের হাতিনালার বিভিন্ন অংশে আমরা সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। এছাড়া আরও কোথায় বাঁধের প্রয়োজন আছে কি না, খতিয়ে দেখা হয়। তিনি বলেন, এমনিতেই ভোটের জন্য লোকের অভাবে কয়েকদিন সেচদপ্তরের কিছু কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিছু কাজ ধীরগতিতে হয়েছে। কিন্তু হাতে সময় মাত্র একমাস। তার আগে আমরা প্রয়োজনীয় বাঁধের কাজগুলো যাতে সম্পূর্ণ হয়, সেটা দেখছি।
কৃষ্ণেন্দুবাবু আরও বলেন, ভূটান পাহাড় থেকে নেমে আসা জলকে হাতিনালা দিয়ে সমতলে প্রবেশের আগেই রেতি, সুকৃতি নদীতে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল টাকা বরাদ্দের বিষয়ে কেন্দ্র কোনও উচ্চবাচ্য না করাতে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই আপাতত গভীরতা বাড়াতে হাতিনালায় ড্রেজিং করে আবর্জনা সরানো হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সীমা চৌধুরী বলেন, হাতিনালা বাস্তবে বানারহাট এলাকার মানুষের জন্য একটা বড় সমস্যা। বিপুল টাকার প্রয়োজন। কেন্দ্র তৎপর হলেই হয়তো সমস্যা মিটবে।