বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির এককর্তা রবিউল হক বলেন, এনিয়ে আমার বাড়ি তিনবার হাতি ভেঙেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি। ভোর রাতে হাতি গ্রামে এলে আমরা বনকর্মীদের ফোন করলেও তাঁদের মোবাইল ফোনটি স্যুইচড অফ পাই। আমরা চাই বনকর্মীরা হাতি তাড়াতে নিয়মিত গ্রামে টহল দিক। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
ডায়নার রেঞ্জার শুভেন্দু দাস বলেন, গ্রামবাসীরা ঠিক কথা বলছেন না। আমাদের কাছে টেলিফোন আসামাত্রই আমরা গ্রামে যাই। হাতির হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়ম মেনেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর ৪টে নাগাদ ডায়না জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি নাগরাকাটার খয়েরবাড়ির নিউ মার্কেট এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতিটি রবিউল হকের বাড়িতে প্রথমে হামলা চালায়। সেই সময় রবিউল সাহেব সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়েছিলেন। ঘর ভাঙার শব্দ শুনেই তাঁরা সকলে জেগে যান এবং প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান। দাঁতালটি তাঁর ঘরে মজুত চাল, ডাল খেয়ে নেয়। প্রতিবেশীরা পটকা ফাটালে হাতিটি ফের ডায়নার জঙ্গলের দিকে রওনা হয়। জঙ্গলের দিকে যাওয়ার সময়ে তফেল হক ও মজির হকের বাড়ি ভেঙে দিয়ে যায়।
অন্যদিকে মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোরার ডাঙাধুরা বস্তিতে এদিন ভোর ৩টে নাগাদ একটি দাঁতাল হাতি গোরুমারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মোস্তাকিন রহমানের মুদিখানা দোকানটি ভেঙে তছনছ করে দেয়। দোকানের মজুত চাল, ডাল, তেল নুন খেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট করে দেয়। স্থানীয়রা হাতিটিকে তাড়া করলে সেটি ভোর ৪টে নাগাদ ফের গোরুমারা জঙ্গলে ঢুকে যায়। এদিকে ডায়না জঙ্গল থেকে ৮-১০টি হাতির একটি দল ধূপগুড়ি ব্লকের সুরেন্দ্রনগর চা বাগানের শ্রমিক লাইনে এদিন ঢুকে পড়ে। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। হাতির দলটিকে তাই কেউ তাড়াতে যায়নি। এরপর ওই হাতির পালটি চন্দন তির্কি, জয়রাম মুণ্ডু, চামেলি কাছুয়া, বান্দু মুণ্ডা, আমন মুণ্ডা, শীলা তির্তি সহ মোট ১০ জনের বাড়ি ভেঙে দেয়।