বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) প্রণব ঘোষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা জেলা পরিষদের মেন্টর শুভাশিস পাল ওরফে সোনা বলেন, দিঘি নিয়ে এলাকায় কিছু ঝামেলা তৈরি হয়েছে। এখন টেন্ডার ডাকা হলে এলাকায় বড় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এলাকার শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি যাতে কিছু দিনের জন্য দিঘির টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী বিপ্লব অনুগামী মৎসজীবী মহম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এখনও তৃণমূল দল করি। তবে আগে বিপ্লব মিত্রের হয়ে কাজ করতাম। সেই কারণে টেন্ডারে আমরা যাতে অংশগ্রহণ না করতে পারি সেজন্য সোনা পাল প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করে টেন্ডার বাতিল করে দিয়েছেন। প্রশাসন আমাদের কোনও কারণ দেখাতে পারেনি কী কারণে টেন্ডার বাতিল করা হল। এনিয়ে আমরা আইনের পথে যাব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের ঐতিহাসিক মালিয়ান দিঘির আয়তন ৮৪ একর। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে প্রশাসনের তরফে মৎস্যজীবী গোষ্ঠীদের মাছ চাষ করতে দেওয়া হয়। শুক্রবার সেই টেন্ডার নিয়ে বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে দিঘিতে মাছ চাষ করত বিপ্লব অনুগামীরা। বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর অনুগামীরা যাতে কোনওভাবেই দিঘিতে মাছ চাষের সুযোগ না পায় তার জন্য খোদ সোনা পাল ময়দানে নামেন। কৌশল করে এদিন প্রশাসনের কাছে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগে জানান এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। দিঘির টেন্ডার হলে বড় সমস্যা হতে পারে। প্রশাসন সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন টেন্ডার বাতিল করে। যদিও বিপ্লব অনুগামীদের দাবি, প্রশাসন কোনও তদন্ত না করেই সোনা পালের নির্দেশে টেন্ডার বেআইনি ভাবে বাতিল করেছে।