বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তুফানগঞ্জের ইলাদেবী গার্লস হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা দীপা সাহা বলেন, আগে যখন সুনীতি অ্যাকাদেমি, জেনকিন্সের ছাত্রছাত্রীরা সাফল্য পেত তখন মনে হত আমাদের ছাত্রীরা কবে এই ধরনের সাফল্য পাবে। এবার আমাদের দু’জন ছাত্রী রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের ছাত্রীরা অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ। অভিভাবকরাও যথেষ্ট সচেতন। শিক্ষিকাদেরও অবদান রয়েছে। দেবস্মিতা ও গায়ত্রী বলে, স্কুলের পাশাপাশি গৃহশিক্ষকদের কাছ থেকেও সহায়তা পেয়েছি। মন দিয়ে পাঠ্যপুস্তক পড়লে সাফল্য আসবেই।
দিনহাটা, শীতলকুচি, তুফানগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের ফলাফল এবার যথেষ্ট নজরকাড়া হয়েছে। রাজকন্যা ইলাদেবীর নামে তৈরি ইলাদেবী গার্লস হাই স্কুল। ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলে প্রথমবার দু’জন ছাত্রী রাজ্যের মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছে। এর সঙ্গেই কোচবিহার শহরের নামকরা সরকারি স্কুলগুলিকে টপকাতে পেরেছে ইলাদেবী স্কুল। তবে জেলার শিক্ষক, শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, শহরের নামকরা স্কুলে পড়লেই ভালো রেজাল্ট করা যায় এই মিথ ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে। কোন ছাত্রছাত্রী কতটা পরিশ্রম করছে তার উপরেই সাফল্য নির্ভর করছে। গ্রামীণ অভিভাবকদের সচেতনতাও বাড়ছে। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, এবার ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের পিছনে গৃহশিক্ষক নাকি স্কুল কার অবদান বেশি তা নিয়েও এবার বড়সর প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে মাধ্যমিকে এবারও আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের স্কুলগুলিকে টেক্কা দিল জেলার গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলি। সর্বোচ্চ নম্বর ও স্কুলভিত্তিক গড় পাশের হার সব ক্ষেত্রেই গ্রামের স্কুলগুলি জেলা সদরের নামী স্কুলগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান পাওয়া শ্রেয়সী পাল, চতুর্থ অরিত্র সাহা ও নবম জয়েশ রায় তিন জনই জেলা সদরের বাইরের স্কুলের। অনেকেই এই ঘটনার জন্য শহরের স্কুলগুলির পড়ুয়াদের একেবারেই স্কুলে না গিয়ে বেশি করে গৃহশিক্ষকের উপর ভরসা রাখা ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি থাকার কারণকেই দায়ী করেছে। এবার মাধ্যমিকে জেলায় পাশের হার ৬৮.৯০ শতাংশ। জেলা স্কুল পরিদর্শক(মাধ্যমিক) তপন সিন্হা বলেন, এই কৃতিত্ব পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি কনোজবল্লভ গোস্বামী বলেন, গ্রামের পড়ুয়ারা প্রতিদিনই স্কুলে যায়। শহরের পড়ুয়ারা স্কুলে যায় না। তাদের গৃহশিক্ষকের উপর অত্যাধিক নির্ভরতা রয়েছে। এজন্য এমন হচ্ছে। এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার স্কুলে না যাওয়ার পাশাপাশি শহরের পড়ুয়াদের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অত্যাধিক আসক্তিকেও কাঠগড়ায় তুলছেন। তবে মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে রাজ্যে প্রথম ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের শ্রেয়সী পাল বলে, সদিচ্ছা থাকলে যে কোন জায়গায় থেকেও ভালো ফল করা যায়।