বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হরিরামপুর থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, ট্রাক্টরে মাটি পরিবহণের বিষয়ে আমার জানা নেই। মাটি কাটা, বিক্রির বিষয়টি ভূমিদপ্তরের আধিকারিকই দেখেন। তবে নির্দিষ্টভাবে কোনও অভিযোগ এলে নিশ্চয়ই আমরা পদক্ষেপ করব।
হরিরামপুর ব্লক ভূমি আধিকারিক সুদান মোক্তান বলেন, আমরা এখন লোকসভা ভোটের কাউন্টিংয়ের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যস্ত আছি। গ্রামে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের খবর আমার কাছে এসেছে। শনিবার ও রবিবার ছুটির দিনে এমন সুযোগকে ওই দুষ্কৃতীরা কাজে লাগাচ্ছে। আমরা শীঘ্রই এব্যাপারে পদক্ষেপ করব। বিগত দিনে হরিরামপুর থেকে নম্বরবিহীন বেশকিছু ট্রাক্টর আটক করে থানায় দিয়েছি।
ইটাহার-দৌলতপুর এবং হরিরামপুর-ধুমসাদিঘি রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে শনিবার ও রবিবার করে ওসব মাটিভর্তি ট্রাক্টর বেশি যায়। ট্রাক্টরগুলি ওভারলোডিং থাকায় মাটি রাস্তায় পড়ে। তাতে মোটর বাইক এবং অন্যান্য যানবাহনের চাকা পিছলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। হরিরামপুর ব্লকজুড়েই মাটি মাফিয়ারা ভূমিদপ্তরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেআইনিভাবে এমন কাজকারবার করে যাচ্ছে। তারা মূলত কৃষিজমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও পুকুর খোঁড়ার মাটিও তুলে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনেরবেলা ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টরগুলি দ্রুত গতিতে চলে। অত্যধিক মাটি বহন করায় সেসব রাস্তায় পড়তে পড়তে যায়। এতে পথচারীদের সমস্যা হয়। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের মাটি পরিবহণের বৈধ কোনও কাজগপত্র থাকে না। তাছাড়া অধিকাংশ চালকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এর আগে কয়েকবার ওসব ট্রাক্টর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। সেসময়ে চালক কিংবা গাড়ির কোনও কাগজপত্র পুলিস পায়নি। মাটি মাফিয়ারা মূলত চাষের জমি, পুকুর, নদী থেকে বালি, মাটি তুলে কালোবাজারি করছে। ভোটের আগে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ব্লক ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা অবৈধভাবে মাটি পরিবহণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন। ট্রাক্টর আটক করে আইনি পদক্ষেপও করেন। কিন্তু এখন সরকারি কর্মীরা ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে বেআইনি এই কাজ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।