বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, আমরা আশা করছি শীঘ্রই প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। আমরাও সেজন্য অপেক্ষা করছি। তবে কারা প্রচারে আসবেন সেটাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের কর্মীরা তৈরি রয়েছেন। বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, বুথস্তরে আমাদের সংগঠন গোছানোই আছে। প্রার্থী দেরিতে ঘোষণা হওয়া নিয়ে কোনও অসন্তোষ নেই। আমাদের কর্মীরা সকলেই দলের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আমাদের আশা মঙ্গলবারই প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাবে।
লোকসভা নির্বাচন শিয়রে। সোমবার থেকে মনোনয়নের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার আসনটি বিজেপির কাছে পাখির চোখ। দুটি জেলাতেই বিজেপি গত কয়েকমাস ধরেই ঘুঁটি সাজিয়েছে। আলিপুরদুয়ারে চা বলয়ে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিবৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ভোট পরীক্ষা সামনে আসতেই বিজেপি শিবির ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করেছে। কোচবিহারে জেলা বিজেপির এক নেতৃত্বের দাবি, এভাবে ভোটে লড়াই করা যায় না। এবার উত্তরবঙ্গে বিজেপির পরিস্থিতি যথেষ্ট অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হওয়াতে দলের অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটের হাওয়া তুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে জল্পনার অবসান কিছুতেই হচ্ছে না। ক্রমশ অধৈর্য্য হয়ে উঠছেন দলের বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা। এমনকী দলীয় কার্যালয়ে চাপা ক্ষোভও জমা হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝেমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নিয়ে গুঞ্জন হচ্ছে। কিন্তু কে প্রার্থী হবেন সেব্যাপারে কোথাও কোনও নিশ্চয়তা নেই। এদিকে কবে প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়ার লিখন হবে, কবে পোস্টার তৈরি হবে, কীভাবে বাড়ি বাড়ি প্রচার হবে, কবে জনসভা হবে সেব্যাপারে কোনও দিশা পাচ্ছে না দল। দলের রাজ্য সভাপতি আগামী ২২ মার্চের পর কোচবিহারে আসতে পারেন। পরবর্তী সময়ে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আসতে পারেন। কিন্তু অন্য কোনও হেভিওয়েট নেতা জেলাতে প্রচারে আসবেন সেব্যাপারেও এখনও চূড়ান্ত কোনও তথ্য উপর মহল থেকে আসছে না। এসবের জেরে ভোটের মূল পর্বে লড়াই করার আগে দলের নিচুতলার কর্মীদের মনোবলে ক্রমশ চিড় ধরছে।