বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পার্কল্যান্ডের স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় নিহত ১৭ জনের মধ্যে সিডনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিডো পোলাকও ছিলেন। শনিবার মিডোর ভাই হান্টার পোলাক ট্যুইটারে লেখেন, ‘অসামান্য প্রতিভাবান সিডনিকে অকালেই চলে যেতে হল। আজ আরেকটি তরতাজা প্রাণকে পার্কল্যান্ডে সমাধিস্থ করলাম আমরা। এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।’ সিডনির মা কারা এইলো স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গতবছর স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে বন্দুকবাজের হামলার দিন সিডনি সেখানেই ছিলেন। তবে, স্কুলের যে বিল্ডিংয়ে তাণ্ডব চলেছিল, তার পাশের বিল্ডিংয়ে ছিলেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই চরম মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন সিডনি। চোখের সামনে বন্ধুদের খুন হতে দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কলেজে ভর্তি হলেও নিয়মিত ক্লাস করতে পারতেন না। কারণ, ক্লাসরুম দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন ওই তরুণী।
তবে, সম্প্রতি ফের সুস্থ জীবনে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছিলেন সিডনি। শুরু করেছিলেন যোগাসনের অনুশীলন। চিয়ারলিডিংও বিশেষ পছন্দ ছিল তাঁর। তাই তিনি যে আত্মঘাতী হতে পারেন, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি পরিজনরা। এদিকে, সিডনির মৃত্যুতে বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনার সরাসরি যোগের দাবি তুলে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। আমেরিকাজুড়ে একাধিক সমীক্ষায় আত্মহত্যার সঙ্গে বাড়িতে বন্দুক থাকার একটা প্রচ্ছন্ন যোগ উঠে এসেছে। হার্ভার্ডের টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের দাবি, যেসব বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার চল আছে, সেই বাড়িগুলিতে আত্মহত্যার ঘটনা তুলনামুলকভাবে বেশি ঘটে। সিডনির ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।