এখনও তিন দফার ভোটগ্রহণ বাকি। তার আগেই অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রে সরকার গড়বে ‘ইন্ডিয়া’। আর তৃণমূল সেই জোটে আছে এবং থাকবে। যদিও সেই দাবির সঙ্গে সহমত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সিঙ্গাপুরের মেট্রোরেল দেখিয়ে নিজের সাফল্যের দাবি। বিজ্ঞাপনেও মিথ্যাচার নরেন্দ্র মোদির! গত বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বে কলকাতার মেট্রো নেটওয়ার্কের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর একক কৃতিত্ব তুলে ধরতে গিয়ে একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বিজেপি।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি শাস্তি পাবেই। তাদের প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ হয়ে যাবে। নিশ্চিত বিক্ষোভরত কৃষকরা। আর তাই একপ্রকার নজিরবিহীনভাবেই আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি পরিকল্পনা করছে, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই তারা ‘বিজয় জমায়েত’ করবে।
সোমবার রয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। প্রথম চার দফায় যা ভোট হয়েছে, তাতে বিরোধী সাফল্য সম্পর্কে অত্যন্ত আশাবাদী কংগ্রেস। হাত শিবিরের দৃঢ়বিশ্বাস, মোদি সরকার এবার কোনওমতেই ক্ষমতায় আসছে না। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের দাবি, ‘কেন্দ্রে এবার পালাবদল হবেই।
আপের রাজ্যসভার সদস্য স্বাতী মালিওয়ালকে নিগ্রহের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন বৈভব কুমার। শনিবার দুপুরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন থেকে দিল্লি পুলিস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর ব্যক্তিগত সচিবকে বৈভবকে তুলে নিয়ে যায়।
লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার থেকেও দলের হয়ে প্রচারে বেশি মনোনিবেশ করতে চান। এজন্যই প্রার্থী হননি তিনি। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এব্যাপারে তাঁর যুক্তি, ওয়েনাড়ের পাশাপাশি রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলিতে লড়াই করছেন।
আচমকা অগ্নিকাণ্ড যাত্রীবোঝাই বাসে! মথুরা-বৃন্দাবন থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ন’জন পুণ্যার্থী। শনিবার ভোরে কুণ্ডলী-মানেসর-পালওয়াল (কেএমপি) এক্সপ্রেসওয়েতে হরিয়ানার নুহর এই ঘটনায় ১৫ জনের বেশি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলে খবর।
বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ভোটে কারচুপির অভিযোগ কমছে না। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই এ ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন জিইয়ে রাখছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ আজ ১২ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্ব। তার আগেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে চিঠি পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস। জানতে চাওয়া হল, কেন এখনও পর্যন্ত গত দু দফায় মোট কতজন ভোট দিয়েছেন সেই সংখ্যা প্রকাশ করা হল না? কেন স্রেফ ভোটদানের হার? ভোট হয়ে যাওয়া ১৯০ লোকসভা আসনে কোন কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা কত, আর তার মধ্যে গত ১৯ এবং ২৬ এপ্রিল ঠিক কতজন ভোটদান করেছেন, তা জানাতে হবে বলেই সোমবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। গত দু দফায় ভোটের হারই বা জানাতে কেন বিলম্ব? তা নিয়েও কমিশনের কাছে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কী করে ১১ দিনে বেড়ে গেল ভোটের হার? তাও আবার এক-দু’শতাংশ নয়। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোটের দিন বলা হয়েছিল ৬০ শতাংশ। কিন্তু ১১ দিন পর গত ৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানাল ওইদিন ভোট পড়েছে ৬৬.১৪ শতাংশ। এত বেড়ে গেল? তাই ভোটারদের মনে সন্দেহ দূর করতে শতাংশ নয়, সংখ্যায় জানানো হোক ঠিক কতজন ভোট দিয়েছেন। তা নাহলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে বলেও চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূল। ভোটের দিন কোথায় কত ভোট পড়ল, তার হিসেব নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে পান প্রার্থীরা। ‘ফর্ম ১৭-সি’ তে লেখা থাকে নির্দিষ্ট বুথে কোন ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। ভোটার সংখ্যা কত। কতজন ভোট দিয়েছেন। ফলে কমিশনের পক্ষে মোটেই মোট ভোটদাতার সংখ্যা একজোট করা কঠিন কাজ নয়। তা সত্ত্বেও কেন তা আড়াল করছে কমিশন? প্রশ্ন তুলেছেন ডেরেক। ‘ইন্ডিয়া’ জোট সূত্রে খবর, তাদের প্রার্থীদের বলা হয়েছে, প্রতিটি বুথ থেকে এই ফর্ম ১৭-সি’র ভোটের সংখ্যা একজোট করতে। সেটিই মেলানো হবে গণনার দিন। ফর্মে কোন দলের প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন, তা জানা না গেলেও, তবে ভোটের সংখ্যা দেখে দলগুলি ফলপ্রকাশের আগেই হিসেবনিকেষ শুরু করে। আন্দাজ পাওয়ার চেষ্টা করে কত ভোট তাদের ঝুলিতে আসতে পারে। কমিশন ভোটের দিনই কেন্দ্রওয়াড়ি মোট ভোটদাতার সংখ্যা আগে জানাত।
