বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
২০১৯ সালের ভোটে বিজেপি কংগ্রেসের রাজ বব্বরকে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটে হারিয়েছিল। এবার রাজকুমারের জায়গায় স্থানীয় বিধায়ক চৌধুরী বাবু লাল তাঁর ছেলে রামেশ্বর চৌধুরীর জন্য টিকিট চেয়েছিলেন। কিন্তু দল সেই আর্জি মানেনি। সেজন্য নির্দল হিসেবে লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন রামেশ্বর। তাঁকে কোনওভাবেই নিরস্ত করতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। শেষপর্যন্ত বাবু লালকে শোকজ নোটিসও পাঠিয়েছে দল। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল রাজকুমার ও রামেশ্বর দু’জনেই জাঠ। ফতেপুর সিক্রিতে জাঠ ভোটদাতাদের সংখ্যা যথেষ্ট। তাই জাট ভোটের ভাগাভাগি হলে তার লাভ ঘরে তুলতে পারেন কংগ্রেস প্রার্থী। এই বিভাজন রুখতে জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির উপর অনেকটা নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপিকে। তার উপর বিএসপির এখানে রামনিবাস শর্মাকে প্রার্থী করে ব্রাহ্মণ তাস খেলেছে। মায়াবতীর দলের এই কৌশল বিজেপির নিজস্ব ভোটব্যাঙ্কে সিঁধ কাটতে পারে বলেও আশঙ্কা।
অন্যদিকে, অনুন্নয়ন, বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অগ্নিবীর প্রকল্পের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর জনসংযোগের নিজস্ব স্টাইল নজর কেড়েছে। বামদলগুলির মতোই কৌটো নিয়ে আর্থিক সাহায্য চাইছেন তিনি। এভাবে মানুষের সঙ্গে সহজেই নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা যায় বলে মনে করছেন ‘ফৌজি বাবা’।
সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে আসন ধরে রাখার ব্যাপারে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কিস্তিমাতের আশায় ইন্ডিয়া শিবিরও। সবমিলিয়ে ফতেপুর সিক্রিতে এবারের লড়াই কোনও দলের পক্ষেই সহজ নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।