বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
২০০৯ সাল থেকে টানা তিনবার ধুবুরি থেকে জয়ী হয়েছেন এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। এবারও তিনি প্রার্থী। ইন্ডিয়ার শরিক কংগ্রেস থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাকিবুল হুসেন। অপরদিকে অগপ টিকিট দিয়েছে জাভেদ ইসলামকে। এছাড়াও ১০ জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন। ধুবুরি কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে মোট ১১টি বিধানসভা আসন। মোট ভোটার হলেন ২৬ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪০৩ জন। ভোটারদের প্রায় ৭৯.৬৭ শতাংশ হলেন মুসলিম। ১৯৭১-২০০৪ টানা সাতবার কংগ্রেসের দখলে ছিল এই কেন্দ্র। কিন্তু হিসেব পাল্টে যায় ২০০৯ সালে। মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে সেখানে উত্থান ঘটে বদরুদ্দিনের। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। বিজেপি বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক করা হয়নি। এনিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এআইইউডিএফ প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, হিন্দু ভোটে প্রভাব পড়ার ভয়ে ইন্ডিয়ার শরিক করেনি কংগ্রেস। এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে অসমে। আজমলের কথায়, কংগ্রেস দুর্বল হয়ে পড়েছে। গোটা দেশে বিজেপি ঢেউ আছড়ে পড়লেও আমার কেন্দ্রে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। এবারেও জেতার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ভোটের পর ইন্ডিয়াতে তাঁর প্রয়োজন পড়বে বলেও দাবি করেছেন আজমল। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ নিয়ে বিজেপির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আজমল বলেন, মুসলিম সমাজকে ‘উস্কানি’ দিচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস প্রার্থী রাকিবুল হুসেন এআইইউডিএফকে বিজেপির ‘বি’ টিম হিসেবে তোপ দেগেছেন। অগপ প্রার্থী জাভেদ ইসলাম প্রচারে বেরিয়ে আজমল ও কংগ্রেস প্রার্থীকে ‘বহিরাগত’ বলে তোপ দেগেছেন। তাঁর প্রচারে উঠে এসেছে ব্রহ্মপুত্রের উপর দেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের কথাও। ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর কাজ ২০২৭ সাল নাগাদ সম্পূর্ণ হবে। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেতুটির শিলান্যাস করেন। এআইইউডিএফ প্রার্থী তিনবার জয়ী হলেও সেতু তৈরি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি বলে অভিযোগ তাঁর।