বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
আসন থেকে জিতেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোড়ার স্ত্রী গীতা। এবার ভোটের ঠিক আগে হাত ছেড়ে এসে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রার্থী জোবা মাঝি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মনোহরপুরের বিধায়ক বলেছেন, গতবার উনি আমাদের সবার সহযোগিতাতেই দিল্লি যেতে পেরেছিলেন। কিন্তু বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে তিনি সবার বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন।
মোহনপুরের সেই বিক্ষোভের খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বিক্ষোভ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অসন্তোষের সুর বেঁধে দিয়েছে। তারসঙ্গেই রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গও। আর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিই বিজেপির হিসেব নিকেশ জটিল করে দিয়েছে। ফলে সর্বশক্তি দিয়ে নামতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে হাতেগরম ইস্যু পেয়ে গিয়েছে কংগ্রেস-জেএমএম। ফলে জমে উঠেছে দুই মহিলা প্রার্থীর লড়াই।
মাওবাদী অধ্যুষিত এই আসনের ৭০ শতাংশই গ্রামাঞ্চল। গত পাঁচ বছরে সংসদীয় এলাকার প্রতি উদাসিনতায় ভোটাররা গীতার উপর ক্ষুব্ধ। মহুলডিহার মতো সিংভূমের বিভিন্ন জায়গাতেই মানুষের
গলায় আশাভঙ্গের সুর। তাঁরা বলছেন, সাংসদেরও তো ভোটে জেতার পর আমাদের খোঁজখবর নেওয়ার প্রয়োজন। তারউপর এই আসনে এখনও পর্যন্ত পরপর দু’বার কেউ জিততে পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে,এই ‘মিথ’ই কি গীতার কাঁটা হয়ে উঠবে?
তবে গীতার লড়াইয়ের রসদও রয়েছে। তিনি আদিবাসীদের যে সম্প্রদায়ের, সেই ভোটারদের সংখ্যা এখানে বেশি। এছাড়া এখানকার সাধারণ ও ওবিসি ভোটারদের একাংশের গলাতেও মোদির বিভিন্ন প্রকল্প ও রামমন্দিরের কথা শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, জোবার পাশে সর্বশক্তি দিয়ে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। চম্পইও সিংভূম লোকসভার সরায়কেলার বিধায়ক। তাই নিজের গড়ে জেএমএমকে জেতাতে তৎপরতা বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিংভূম লোকসভার অন্তর্গত ছয়টি বিধানসভা আসনের পাঁচটিই রয়েছে জেএমএমের দখলে। আর একটি শরিক কংগ্রেসের। শেষমুহূর্তে দলকে ধাক্কা দিয়ে গীতার বিজেপিতে যোগদানে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। হিসেব বরাবর করতে তারাও জোরার সমর্থনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।