বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
নির্যাতিতার ভাইয়ের বক্তব্য, ‘ওই ঘটনার পর বহু নেতা নিজেদের স্বার্থে গ্রামে এসেছিলেন। কিন্তু এখন কেউ আমাদের পরিবারের খোঁজ নেয় না। উত্তরপ্রদেশ সরকার ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। সেই টাকা দিয়েই মামলার খরচ চলছে।’ সরকারি চাকরি বা বাড়ি বানানোর প্রতিশ্রুতি অবশ্য পূরণ হয়নি বলে জানান তিনি। এখনও সিআরপিএফ আর সিসি ক্যামেরার নজরদারিতেই বাস তাঁদের।
হাতরাস লোকসভা কেন্দ্রে দলিত ও ঠাকুরদের ভোট প্রায় সমান। এছাড়া রয়েছে ব্রাহ্মণ ও বৈশ্যদের ভোট। আগের বিভিন্ন নির্বাচনের হিসেব বলছে এখানে বিজেপি বরাবরই উচ্চবর্ণের ভোট পেয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকে কেন্দ্র বিজেপির দখলে। মাঝে ২০০৯ সালে আরএলডি বিজেপির সমর্থনে জিতেছিল। গতবারের সাংসদ রাজবীর সিং প্রয়াত। পদ্ম শিবির হাতরাসে প্রার্থী করেছে উত্তরপ্রদেশের রাজস্বমন্ত্রী অনুপ বাল্মীকিকে। তাঁর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সমাজবাদী পার্টির যশবীর বাল্মীকি। লড়াইয়ে রয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির হেমাবু ধাঙ্গর। হিন্দুত্ব ও রামমন্দির এবার বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। অন্যদিকে, সপা প্রার্থী প্রচারে নারী সুরক্ষার উপর জোর দিলেও ধর্ষণের প্রসঙ্গ একবারও টানেননি। বরং তাঁর দাবি, কোনও জাতি ভুল কাজ করে না। ব্যক্তিবিশেষ ভুল কাজ করে। উচ্চবর্ণের ভোটারদের হাতে রাখতেই সপা প্রার্থী জোর গলায় গণধর্ষণের প্রসঙ্গ তুলছেন না বলে মেনে নিয়েছে কংগ্রেসও।
ওই তরুণীর পরিবার সহ গ্রামে মাত্র চারটি দলিত পরিবার। বাকি বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে ঠাকুর ও ব্রাহ্মণ ও ওবিসি প্রজাপতি সম্প্রদায়। ঠাকুর ও ব্রাহ্মণরা স্পষ্টই জানিয়ে দিচ্ছে, তারা বিজেপিকে ভোট দেবে। তবে চারটি দলিত পরিবার কাকে ভোট দেবে, তা নিয়ে মুখে কুলুপ। তবে ‘জয় ভীম’ লেখা দুটি নীল পতাকা নির্যাতিতার বাড়ির সামনে লাগানো রয়েছে। গ্রামে ঘুরলেই শোনা যাবে, চার বছর আগে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার ছায়া এখনও সরেনি। কিন্তু তার থেকেও বড় হয়ে দেখা দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, অনুন্নয়নের মতো বিষয়। ভোটারদের অনেকেই বলছেন, কাজের সুযোগ মিলছে না।