বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
হ্যাঁ, এটাই কর্ণাটকে এবার লোকসভা ভোটের অন্যতম প্রধান ইস্যু—জলসঙ্কট। কংগ্রেস হোক বা বিজেপি-জেডিএস জোট, সব দলের মাথাব্যথার কারণ। সপ্তাহখানেক আগে বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় দফার ভোটপ্রচারে এসে এ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কটাক্ষ করেছেন, ‘টেক সিটি’কে ‘ট্যাঙ্কার সিটি’ বানিয়ে ছেড়েছে কংগ্রেস। কিন্তু এ সঙ্কট তো শুধু বেঙ্গালুরুর নয়, গোটা রাজ্যের। একাধিক জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার নিয়ে কার্যত কালোবাজারি চলছে। জয় অপচয় করা যাবে না—রাস্তায় রাস্তায় বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে রয়েছে জরিমানার হুঁশিয়ারি। এমনকী হোটেলে ঢোকার সময় পইপই করে এব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন রিসেপশনে বসা ম্যানেজারও।
শিমোগার মতো জেলাগুলিতে এতদিন পর্যন্ত সেভাবে জলের অভাব হয়নি। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে সেখানকার ছবিটাও বদলে গিয়েছে। হোসানগর, তীর্থাহাল্লি, সাগর তালুকের বহু জলাশয় শুকিয়ে গিয়েছে। নদীও ক্ষীণধারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নির্বাচনী কেন্দ্র হাভেরির অবস্থাও তথৈবচ। ২০২২ সালে সেই জেলায় ‘জল জীবন মিশন’-এর অধীনে ৩৩০টি কাজ শুরু হয়েছিল। ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও সঙ্কট মেটেনি। শিমোগা জেলার পরিস্থিতিও আলাদা নয়। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘বছরখানেক আগে পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু কলে একফোঁটাও জল পড়েনি।’
ভোটপ্রচারে এনিয়ে মুখ পুড়েছে পদ্ম-শিবিরের নেতা-কর্মীদের। শেখানো বুলির মতো তাঁরা আউড়ে যাচ্ছেন, কংগ্রেসের কাবেরী জলবণ্টন নীতি এর জন্য দায়ী। যদিও তাতে কিছু যায় আসে না ভদ্রাবতী, সাগর, শিকারিপুরের মতো তালুকের বাসিন্দাদের। তাঁদের অনেক বেশি ভাবনা চাষ নিয়ে। গত সাত-আট মাস ধরে বৃষ্টি নেই। পুকুর শুকিয়ে মাঠ। ভূগর্ভস্থ ভাণ্ডারেও টান। নলকূপ খুঁড়েও মিলছে না জল। সেচে জলের অভাব হওয়ায় বহু জমিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বেলা গড়াতে না গড়াতেই গরম বাতাসের দমকা দাপট। মুখ কাপড়ে ঢেকেও চামড়া জ্বলছে। অনাবৃষ্টি, গরম আর চাষ করতে না পারার জ্বালায় ভোট-যুদ্ধ টের পাচ্ছেন না স্থানীয়রা।