নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি ও বর্ধমান: আমেথিতে লড়বেন না, আগেই জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথাই থাকল। মা সোনিয়া গান্ধী তথা পরিবারের ‘গড়’ রায়বেরিলিতেই প্রার্থী হলেন তিনি। মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করল এআইসিসি। অর্থাৎ, ওয়েনাড়ের পর দ্বিতীয় কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল। আর আমেথিতে গান্ধী পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ কিশোরীলাল শর্মা। কংগ্রেস যতই এই সিদ্ধান্তের জন্য রাহুলকে ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ বলে আখ্যা দিক না কেন, ঘোষণা মাত্রই খোঁচা দিতে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়েই তাঁর খোঁচা, ‘আগেই বলেছিলাম কংগ্রেসের শাহাজাদা আর একটি আসনের সন্ধানে আছেন। ওয়েনাড়কে তাঁর আর নিরাপদ মনে হচ্ছে না। তিনি সবাইকে বলেন, ডরো মাত, ভাগো মাত। আজ আমি তাঁকে একই কথা বলছি। স্মৃতি ইরানির ভয়ে উনি আমেথি থেকে পালালেন। কংগ্রেসের ফল গতবারের থেকেও খারাপ হবে।’ এর পাল্টা জবাবের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মোদিকে। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পূর্ব বর্ধমানের মঞ্চ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন। রাহুলের প্রতি মোদির শ্লেষে তাঁর উত্তর, ‘রাহুল রায়বেরিলিতে দাঁড়িয়েছেন, বেশ করেছেন। কোথায় কী বলতে হয়, প্রধানমন্ত্রী জানেন না। আপনি নিজেও তো দুটো আসনে লড়েছিলেন।’ তারপর অবশ্য কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও নেমে পড়েন রাহুলের ঢাল হয়ে। বলেন, ‘রায়বরেলিতে রাহুলের প্রার্থী হওয়াটা উত্তরাধিকার নয়। এখানে তাঁর দাঁড়ানোটা দায়িত্ব এবং কর্তব্যের পরিচায়ক। বলতে পারেন, মোদিজি কেন বিন্ধ্যের দক্ষিণ থেকে ভোটে লড়ার সাহস পান না?’
এদিনই মা সোনিয়া, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে পাশে নিয়ে রায়বেরিলিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রাহুল। উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ওয়াধেরাও। রাহুল বলেন, ‘রায়বেরিলি থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া আবেগের বিষয়। পরিবারের কর্মভূমিতে আমাকে সেবার সুযোগ দেওয়া হল। আমেথি হোক বা রায়বেরিলি, দু’টিই আমাদের পরিবার।’ প্রিয়াঙ্কার প্রতিক্রিয়া, ‘কয়েকদিন আগে মা বলছিলেন, দিল্লিতে আমাদের পরিবার অসম্পূর্ণ। রায়বেরিলিতে এলেই তা পূর্ণ হয়।’