সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার এক কৃষক পরিবারের পঞ্চম সন্তান পামিরেড্ডি। পাঁচ লক্ষ টাকা মূলধন নিয়ে হায়দরাবাদের বালানগরে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং এন্টারপ্রাইজেস নামে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। প্রথমে পাইপ তৈরি করত এই সংস্থা। পামিরেড্ডির ভাইপো পিভি কৃষ্ণা রেড্ডি দু’বছর পর এই ব্যবসায় যোগ দেন। এরপর তাঁদের ব্যবসা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাস্তা তৈরি, বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরি করতে শুরু করে তাঁদের সংস্থা। ২০০৬ সালে সংস্থার নাম বদলে হয় মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড (এমইআইএল)। পামিরেড্ডি রেড্ডি সংস্থার চেয়ারম্যান হন, অন্যদিকে কৃষ্ণা ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে আসেন। সময়ের সঙ্গে ক্রমশ ভারতের অন্যতম বড় সংস্থায় পরিণত হয় এমইআইএল। ২০টি রাজ্যে হাইওয়ে, তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র তৈরির মতো বড় প্রকল্পও পেতে শুরু করে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। এখন দেশ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ ও কুয়েতেও এই সংস্থা কাজ করছে।
কাশ্মীরের জোজিলা টানেল তৈরির বরাত পেয়ে এই সংস্থা চর্চায় আসে। এই টানেল চালু হলে সারা বছর গান্ডেরবাল থেকে দ্রাসের মধ্যে গাড়ি চলাচল সম্ভব হবে। এর জন্য খরচ হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং ২০ কোটি টাকার বন্ড কেনে। আর পরের মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে এশিয়ার দীর্ঘতম এই দ্বিমুখী সড়ক টানেল প্রকল্প নির্মাণের বরাত পায় মেঘা। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মার্চে মুম্বইয়ের বান্দ্রা-কুরলা কমপ্লেক্সে ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বুলেট ট্রেন স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পের বরাতও তাদের হাতে আসে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর ঠিক পরের মাসেই ১৪০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনে তারা। এটিই সংস্থাটির কেনা সর্বাধিক মূল্যের বন্ড।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ছত্তিশগড়ের জাগদালপুরে ইন্টিগ্রেটেড স্টিল প্ল্যান্ট তৈরিতর সময় ১৭৪ কোটি টাকার একটি বিল আটকে ছিল মেঘার। সেই অর্থ উদ্ধারে আটজন সরকারি আধিকারিককে ৭৮ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিল এই সংস্থা।