নয়াদিল্লি, ২৭ এপ্রিল: ভোটকেন্দ্র নাকি বিয়েবাড়ি! বোঝাই দায়। প্রবেশদ্বার সাজানো হয়েছে কলা ও অন্যান্য গাছের পাতা দিয়ে। আর গোটা ভোটকেন্দ্রটিই সেজে উঠেছে দক্ষিণ ভারতের বিয়েবাড়ির আদলে। এরপর পোলিং বুথের ভিতরের চিত্র তো আরও অবাক করার মতো। পোলিং অফিসাররা সকলেই বসে রয়েছেন বিয়েবাড়ির পোশাকে। শুধু অফিসাররাই নন, ভোটদানকারীদের স্বাগত জানানোর জন্য হাজির ছিলেন হোস্টও।  এসব দেখে চমকে যাচ্ছিলেন ভোটদাতারা। দক্ষিণী আচারের বিয়েতে যে ধরনের পোশাক সকলে পরেন, ঠিক সেই ধরনের পোশাকেই ভোটপর্ব পরিচালনা করছেন পোলিং অফিসাররা। সকলেই ঢিলেঢালা পোশাক (শালইয়া), মাথায় পাগড়ি (পেঠা) ও সাদা কুর্তা সঙ্গে ধুতিতে সজ্জিত। কোনও ভোটার হয়তো ভুল করে ভাবতেই পারেন ভোট দিতে গিয়ে ভুল করে কোনও বিয়েবাড়িতে চলে এসেছেন। তাই তো কর্ণাটক রাজ্যের মহিশূরের এই ভোটকেন্দ্রটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারতে ভোট হল গণতন্ত্রের উৎসব। দেশে অন্য আরও চার-পাঁচটা উৎসবের মতোই ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা চোখে পড়ে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে যেমন দেশের বিভিন্ন বুথকে মডেল বুথ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। কোনও ভোটকেন্দ্র আবার পরিচালনা করছেন শুধুমাত্র মহিলারা। মহিশূরের ওই ভোটকেন্দ্রটিও তেমনই এক অভিনব বুথ। গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসবকে এইভাবে উদযাপন করায় খুশি ওই কেন্দ্রের ভোটাররাও। উল্লেখ্য, গতকাল, শুক্রবার ছিল লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট। যার মধ্যে কর্ণাটকের ২৮ টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে ভোট হয়েছে। যার মধ্যে ছিল মহিশূর লোকসভা কেন্দ্রের ওই ভোটকেন্দ্রটিও।