সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটেই এই আসনে প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে। লড়াইটা দ্বিমুখী। মারওয়ারের প্রভাবশালী মির্ধা পরিবারের সন্তান জ্যোতি নাগাউর আসনের বিজেপি প্রার্থী। গতবার তিনি ছিলেন হাত শিবিরে। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বেনিওয়ালকে। তিনি আবার গতবার বিজেপির সমর্থনে জয়ী সাংসদ। কৃষক বিলের বিরোধিতায় গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেন হনুমান। সেই সুযোগটাই নেন জ্যোতি। গতবার কংগ্রেসের হয়ে বেনিওয়ালের কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।
জ্যোতির পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাস চোখে পড়ার মতো। জাঠ সম্প্রদায়ের পাশাপাশি কৃষক নেতা নাথুরাম মির্ধার নাতনি জ্যোতি। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নাথুরাম ছ’বার কংগ্রেসের হয়ে ওই আসনে জয়লাভ করেছিলেন। তবে এহেন শক্ত ঘাঁটিতেই ২০১৯ সালে বিজেপির কাছে হারতে হয় কংগ্রেসকে। মির্ধা পরিবারের প্রভাব গত বারে কাজে আসেনি। কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোতিকে হারিয়ে দেন আরএলপির প্রতিষ্ঠাতা হনুমান বেনিওয়াল। এমনিতে তিনি প্রভাবশালী জাঠ নেতা। তারপর গতবার মোদি হাওয়ায় সহজেই জয়লাভ করেন বিজেপির জোটসঙ্গী। এবারও মির্ধা বনাম বেনিওয়ালের লড়াই দেখবেন নাগাউরের মানুষ। শুধু গতবারর প্রার্থীরা জার্সি বদল করে নিয়েছেন। জাঠ ও কৃষক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিজের দিকে ফিরিয়ে আনাই এখন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির লক্ষ্য। সঙ্গে বিজেপির সংগঠন তো রয়েছেই। অন্যদিকে বেনিওয়ালের ভোটের ইস্যুও জাঠ সম্প্রদায়। তিনি প্রচারে তুলে ধরছেন কৃষক আন্দোলনের কথা। নাগাউর আসন মূলত জাঠ প্রভাবিত। স্থানীয়রাই বলছেন, ওই কেন্দ্রে দলের থেকেও প্রার্থীর গুরুত্ব বেশি। বর্তমানে বিদায়ী সাংসদ বেনিওয়ালই নাগাউরের সবচেয়ে বড় নেতা। তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়েও কোনও প্রশ্ন নেই। অন্যদিকে স্বাধীনতার পর থেকেই নাগাউরে মির্ধা পরিবারের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। জাঠ সম্প্রদায়ের কাছে মির্ধা পরিবারের আলাদা সম্ভ্রমের জায়গা ছিল। আর সেখানেই জ্যোতিকে দলে নিয়ে জাঠ ভোটে ভাগ বসাতে চাইছে বিজেপি। এলাকার মানুষ বলছেন, একদিকে বেনিওয়াল অন্যদিকে জ্যোতি। দু’জনেই জাঠ সম্প্রদায়ের নেতা।