সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
টুজি কেলেঙ্কারিতে মনমোহন সরকারের তো শুধু মুখ পুড়েছিল। কিন্তু সরাসরি ঘর পুড়েছিল ডিএমকে তথা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির। কন্যা কানিমোঝি, আত্মীয় দয়ানিধি মারান গ্রেপ্তার হন সিবিআইয়ের হাতে। জেলে যান ডিএমকের আর এক সাংসদ তথা প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা। অথচ এই দুর্নীতি নিয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে মোদি ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যে খারিজ হয়ে যায় মামলা। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, সিবিআইয়ের দাবি ভিত্তিহীন। তারপর যথারীতি আবার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনজনে। এমনকী এই চব্বিশের মহাযুদ্ধেও একই কেন্দ্র থেকে তাঁরা প্রার্থী। চেন্নাই সেন্ট্রালে দয়ানিধি মারান, থুথুকুডিতে কানিমোঝি আর নীলগিরিজে এ রাজা। উল্টে এবার তাঁরা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন মোদির বিরুদ্ধে। আঙুল তুলছে তামিলনাডুর মানুষও।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ের এগমোর স্টেশনের বাইরে অফিসফেরতা অক্ষতা স্বামী যেমন জানালেন, ‘টুজি কোনও কেলেঙ্কারি ছিল না। ওই টাকা সরকারের লাভ হতে পারত বলে জানিয়েছিল ক্যাগ। অর্থাৎ, পুরোটাই কল্পনা। আমাদের রাজ্যের নেতাদের ফাঁসানো হয়েছিল।’ তাঁর গলার উত্তেজনা মিলে গেল ট্রিপলিকেনে সরকারি হাসপাতালের উল্টোদিকে শরবতের দোকানের আব্বাসের সঙ্গে—‘গোটা তামিলনাডুই টুজির কথা ভুলে গিয়েছে। শুধু বিজেপি আর আপনারা, মানে সাংবাদিকরাই ভুলতে পারছেন না। এতই যখন বড় ইস্যু, বিজেপি তা নিয়ে পোস্টার বা লাগাতার প্রচার করেনি কেন?
চেন্নাই থেকে প্রায় ৬০০ কিমি দূরে বসে টুজির ‘মৃত্যু’ হওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন এ রাজা। তিনি বলেন, এখন ফাইভজির জমানায় টুজি নিয়ে এত হইচইয়ের কোনও কারণ নেই। বরং তাঁর প্রশ্ন, বিজেপি আগে যাঁর হাত ধরেছিল, সেই জয়ললিতাই তো দুর্নীতিতে জেল খেটেছেন। তাঁকে নিয়ে কেন কথা বলছেন না মোদি? যদিও তাতে দমছেন না রাজার প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগান। বিজেপি প্রার্থীর সাফ কথা, এই আসনে টুজি বনাম মোদিজির লড়াই। মোদিজিই জিতবেন। কারণ নীলগিরির মানুষ ডিএমকের দুর্নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।