পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
তিনটি ক্ষেত্রে মিল একটিই—তা হল প্রায় নিয়মিতভাবে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। প্রথম ক্ষেত্রে ‘ক্লোন’ হামসফর এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচে আগুন লেগেছিল। আহত হয়েছিলেন অন্তত আটজন যাত্রী। গত শুক্রবার গোদান এক্সপ্রেসের দু’টি বগিতে ভয়ানক আগুন লেগেছিল নাসিক রোড রেলওয়ে স্টেশনে। যদিও কোনও যাত্রী হতাহত হননি। কার্যত সেই ‘প্রবণতা’ বজায় রইল মঙ্গলবারও। গভীর রাতে বিহারের আরা জংশন স্টেশনে ওই মুম্বই-দানাপুর হোলি স্পেশাল ট্রেনের একটি এসি কোচে আগুন ধরে যায়। তবে এক্ষেত্রেও কোনও রেলযাত্রী হতাহত হননি। সৌভাগ্যবশত কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি না হলেও এই ইস্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলমন্ত্রক। কেন বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটছে? মূলত এই প্রশ্নেই রেলের সার্বিক নজরদারি ব্যবস্থাই কাঠগড়ায় উঠেছে।
হোলি এবং দোল উৎসবে যাত্রীদের মাত্রাছাড়া ভিড় সামাল দেওয়া রেলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে পাঁচশোটি হোলি স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে মন্ত্রক। কিন্তু ট্রেনগুলিতে যাত্রীরা ন্যূনতম পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, রেলের সার্বিক পরিকাঠামো ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা ঘিরেও বেড়েছে জল্পনা। অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। মঙ্গলবার রাতের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে দানাপুরের ডিআরএম জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, ‘ওই কোচে সেই সময় কোনও রিজার্ভেশন ছিল না। ফলে কেউ হতাহত হননি। খুব দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।’ কিন্তু যাত্রী থাকলে কী হতো, তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে। কারণ যে সময়ে আগুন লেগেছে, ওই সময়ে স্বাভাবিকভাবেই ঘুমিয়ে থাকতেন যাত্রীরা। ফলে প্রাণ বাঁচানোই দায় হতো। সম্প্রতি ট্রেনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে রেলমন্ত্রককে কার্যত তুলোধনা করেছিল ক্যাগ। তার পরেও যে রেলের ঘুম ভাঙেনি, মঙ্গলবারের অগ্নিকাণ্ডই তার প্রমাণ।