বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জম্মুর আইজি মাকেশ সিং জানান, সকাল আটটা নাগাদ জম্মু-পাঠানকোট জাতীয় সড়কে কার্ডবোর্ড বোঝাই একটি লরি আটক করা হয়। ওই লরিতেই লুকিয়ে ছিল তিন জয়েশ জঙ্গি। নিশ্চিত খবরের ভিত্তিতে ‘জে কে ১৩ই-২০০০’ নম্বরের ট্রাকটিকে লাখানপুরের কাছে আটক করা হয়। ট্রাকটির মালিক সুহিল আহমেদ লাতু পুলওয়ামার গুলশনবাদের বাসিন্দা। চালকের নাম জাভেদ আহমেদ দার। আটক তিন জঙ্গিও কাশ্মীরের বাসিন্দা। ধৃত তিনজনের মধ্যে উবাইদ-উল-ইসলাম রাজপোরা পুলওয়ামার বাসিন্দা। আর এক জঙ্গি জাহাঙ্গির আহমেদ পারে বদগাঁওয়ে থাকে এবং সাবিল আহমেদ বাবা রাজপোরা পুলওয়ামার আঘলার কান্দির বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে চারটি একে-৫৬ রাইফেল, দু’টি একে-৪৭ রাইফেল, ছ’টি ম্যাগাজিন এবং ১৮০ রাউন্ড গুলি এবং ১১ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। কাঠুয়ার সিনিয়র এসপি শ্রীধর পাটিল দাবি করেছেন, আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ পাঞ্জাব থেকে কাশ্মীর নিয়ে আসছিল তিন জঙ্গি। উপত্যকায় অশান্তি তৈরিই ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
কাঠুয়ায় সন্ত্রাসের চেষ্টাকে ব্যর্থ করলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখার কাছে একাধিক রবারের নৌকা উদ্ধার হওয়ায় উদ্বিগ্ন নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরকে ফের অশান্ত করতে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে জঙ্গিরা। এর আগে ২০১১ সালে রবার নৌকার সাহায্যে কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছিল নিরাপত্তা রক্ষীরা। জানা গিয়েছে, এবার জম্মু ডিভিশনের আখনুর, সাম্বা এবং কাঠুয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে ১৩টি ছোট রবারের বোট পাওয়া গিয়েছে। এরপর থেকেই এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই উপত্যকায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞায় কিছুটা ছাড় দিলেও নিরাপত্তা বাহিনী সরানোর কথা চিন্তা করছে না প্রশাসন। গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব করার পর ৩৯ দিন অতিক্রান্ত। এখনও স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। স্কুল-কলেজ তেমনভাবে খোলেনি, সরকারি যানবাহন রাস্তায় নামেনি। তবে, সাধারণ মানুষের জমায়েতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে খবর, মোবাইল পরিষেবা দ্রুত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট এখনই শুরু হবে কি না, তা জানা যায়নি। যদিও সমগ্র কাশ্মীরজুড়ে ল্যান্ডলাইন পরিষেবা অনেকদিন থেকেই স্বাভাবিক। প্রশাসনের দাবি, সরকারি যান না চললেও বেসরকারি গাড়ি ভালোই চলাচল করছে। শ্রীনগরে অটোরিকশ চলতে শুরু করেছে। বাজার বা অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ। সরকারি স্কুল চালুর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাননি। অন্যদিকে, এখনও গৃহবন্দি জম্মু-কাশ্মীর রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীরা।