বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রায় বছর দশেক আগের কথা। কেন্দ্রের মনমোহন সিং সরকারে চিদম্বরম তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তখন গুজরাতের মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ ওঠে, অমিত শাহের অনুমতিতেই সাজানো সংঘর্ষে সোহরাবুদ্দিন শেখকে খুন করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ওই মামলার তদন্ত যায় সিবিআইয়ের হাতে। চিদম্বরম তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছ’মাস পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে অমিত শাহকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়। জামিনের আবেদন জানান শাহ। গুজরাত হাইকোর্টে তার বিরোধিতা করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা যুক্তি দিয়েছিল, অমিত শাহ জামিনে মুক্তি পেলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রমাণ লোপাট করতে পারেন। সাক্ষীদের হুমকি দিতে পারেন। তিন মাস জেলে থাকার পর ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর গুজরাত হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। তবে সিবিআইয়ের আবেদন মেনে তাঁর গুজরাতে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। সেই সময় অমিত শাহের অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের নিশানা বানাতে সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে কংগ্রেস ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরম। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওই মামলার সব অভিযোগ থেকে রেহাই পান অমিত শাহ। ঘটনাচক্রে অমিত শাহ এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর আইএনএক্স মামলায় চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের পদক্ষেপ নিয়ে একই অভিযোগ আনছে কংগ্রেস। কাকতালীয় হলেও ইতিহাসের এই পুনরাবৃত্তি নিয়ে রাজনীতির অলিন্দে এখন চর্চা তুঙ্গে।