বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত উত্তরকাশীর মোরি ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ১৩টি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ আরও চার। গত রবিবার প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নামলে ছ’টি গ্রাম বিপর্যস্ত হয়। এর মধ্যে মাকুন্ডির অবস্থা সবথেকে খারাপ। গ্রামটি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ভালো খবর পাওয়া গিয়েছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। যদিও শতদ্রুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় লুধিয়ানা, রূপনগর এবং জলন্ধরের পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। গত কয়েক দিনের অতিভারী বৃষ্টির জেরে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মিলিতভাবে উদ্ধারকাজে নামে। সোমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জরুরি ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের জন্য ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর মঙ্গলবার যমুনার জলস্তর নতুন করে বাড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলাশাসকদের দ্রুত উদ্ধারকাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যান্য রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেও হিমাচল প্রদেশের হাল এখনও খারাপ। এদিন বিধানসভায় হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানান, এই বন্যায় রাজ্যে ৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জল সরবরাহের পাইপ, রাস্তা এবং বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন। মোট ৬২৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে পিডব্লুডির ক্ষতি হয়েছে ৩২৩ কোটি, সেচ এবং গণস্বাস্থ্য দপ্তরের ক্ষতির পরিমাণ ২৬৯ কোটি বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। এদিনই হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক এবং ওড়িশার পুনর্গঠনে ৪ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত অর্থবর্ষে এই তিন রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানায়, ফণি ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল ওড়িশা। এই রাজ্যের পুনর্গঠনে ৩৩৩৮.২২ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে খরায় বিপর্যস্ত কর্ণাটকের জন্য ১০২৯.৩৯ কোটি টাকা এবং হিমাচল প্রদেশের জন্য ৬৪.৪৯ কোটি টাকা।