বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শোনা যাচ্ছে, ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে জয়শঙ্কর এটাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়ে দেন। আর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ভারত ও চীনের মধ্যে পড়বে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জয়শঙ্কর চীনা বিদেশমন্ত্রীকে বলেছেন, ভারতের সংবিধানে কোনও বদল আনা হয়নি। কেবল একটি ‘অস্থায়ী’ ধারায় বদল করা হয়েছে। আর সুশাসন এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্যই রাজ্য পুনর্গঠন করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারত অতিরিক্ত কোনও ভূখণ্ডের দাবি তোলেনি। তাই চীনের এই নিয়ে উদ্বেগ নিষ্প্রয়োজন।’ এছাড়াও চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ মেটাতে ভারত যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উপরই জোর দিচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চীনে কাজ করেছেন জয়শঙ্কর। এখনও পর্যন্ত এটাই কোনও ভারতীয় কূটনীতিকের চীনে দীর্ঘতম অবস্থান। সেই অভিজ্ঞতা দিয়েই কাশ্মীর নিয়ে চীনা নেতৃত্বকে তিনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
এর আগে রবিবার চীনের সংবাদ সংস্থা জিনহুয়াকে এক সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, দুই দেশের পারষ্পরিক বিবেচ্য ইস্যুকে মর্যাদা দেওয়া উচিত ভারত এবং চীনের। জয়শঙ্করের কথায়, ‘দুই দেশেই ১০০ কোটির বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক কেবল দ্বিপাক্ষিক স্তরে আবদ্ধ নয়, বরং এর একটা আন্তর্জাতিক মাত্রা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ক্ষমতার বিন্যাস বদলাচ্ছে। বহু মেরুর বিশ্বে আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিরতা এবং উন্নয়নের জন্য ভারত এবং চীনের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। চলতি শতাব্দীকে ‘এশিয়ান সেঞ্চুরি’তে পরিণত করতে হলে ভারত এবং চীনকে আরও কাছে আসতে হবে। এর জন্য গত ৬৯ বছরের দুই দেশের টানাপোড়েন থেকে শিক্ষা নিতে হবে বলেও জয়শঙ্কর মন্তব্য করেছেন।