নয়াদিল্লি ও লন্ডন, ২০ জুলাই (পিটিআই): শুক্রবার, একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাঙ্কারকে হরমুজ প্রণালী থেকে আটক করেছে ইরান। ওই ট্যাঙ্কারটিতে মোট ২৩ জন ক্রু মেম্বার ছিলেন। তাঁদেরও আটক করা হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে ক্যাপ্টেন সহ মোট ১৮ জন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হল নয়াদিল্লি। শনিবার, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘ওই ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আটক ভারতীয়দের মুক্তি এবং তাঁদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ইরান সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।’
তেল ট্যাঙ্কার আটক করার ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ ব্রিটেন। এই নিয়ে সরাসরি তেহরানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব জেরেমি হান্ট। তাঁর কথায়, ট্যাঙ্কার বাজেয়াপ্ত করে ইরান ‘বিপজ্জনক পথ’ বেছে নিয়েছে। সেইসঙ্গে, দেশীয় জাহাজের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ‘স্টেনা ইমপারো’ নামক ব্রিটিশ ট্যাঙ্কারটি আটক করে ইরানিয়ান রেভালিউশনারি গার্ড। সেদেশের প্রশাসনের অভিযোগ, ইরানের একটি মাছ ধরার বোটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ওই ট্যাঙ্কারটির। তারপরই সেটিকে আটক করা হয়। এই ঘটনার জেরে উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ অনেকটাই চড়েছে।
এদিকে, ওই ট্যাঙ্কারটির মালিকানা রয়েছে স্টেনা বাল্ক নামে এক সুইডিস সংস্থার হাতে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন সংস্থার কর্তা এরিক হ্যানেল। তিনি জানান, ‘স্টেনা ইমপারো’-তে ২৩ জন ছিলেন। এঁদের মধ্যে ভারত, রাশিয়া, ল্যাতভিয়া ও ফিলিপিন্সের নাগরিক রয়েছেন। সকলেই সুস্থ আছেন। সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। উদ্ভূত জটিলতা কাটাতে সংস্থার তরফে ব্রিটেন ও সুইডেনের সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, নাবিক ও কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সংস্থা।
উল্লেখ্য, জুলাই মাসের প্রথম দিকে ব্রিটিশ নৌসেনা এবং জিব্রাল্টার পুলিস ইরানের একটি ট্যাঙ্কারকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। আইবেরিয়ান উপদ্বীপের দক্ষিণ উপকূল থেকে ট্যাঙ্কারটি আটক করা হয়। জিব্রাল্টার প্রশাসন অভিযোগ করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে ওই জাহাজে করে সিরিয়াতে ক্রুড অয়েল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তারপর থেকেই উপসাগরীয় অঞ্চলে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়।