বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিজেপির আগামী টার্গেট রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ। কারণ ওই দুই রাজ্যেও কংগ্রেসের সরকার কার্যত সুতোয় ঝুলছে। সামান্য কয়েকজন বিধায়কের দলবদল হলেই ওই দুই সরকারও দখল করে নেবে বিজেপি। বস্তুত শুধুই রাজ্যে রাজ্যে সরকার দখল নয়। বিজেপির মূল রণকৌশল হল রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা আগাম পাকা করে নেওয়া। কারণ রাজ্যসভায় গরিষ্ঠতা অর্জনই নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের এখন প্রধান টার্গেট। সরকারিভাবে বিজেপি এককভাবে ২০২১ সালে সম্ভবত গরিষ্ঠ হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগেই এনডিএ জোট হিসাবেও যাতে গরিষ্ঠতা চলে আসে সেই লক্ষ্যেই বিজেপি মরিয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় বিজেপি ও সহযোগী দল মিলিয়ে এখন ১১৬ জন এমপি রয়েছেন। গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১২৪। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওড়িশায় রাজ্যসভা ভোটে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিজু জনতা দলের সঙ্গে বিজেপির আলোচনা চলছে। বিজু জনতা দল সম্ভবত বিজেপি প্রার্থীকেই সমর্থন করবে। ২০২১ সালের আগেই রাজ্যে রাজ্যে আরও বেশি সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন তৈরি রাখতেই এই আগ্রাসী উদ্যোগ। সেই কারণেই প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে অন্য দল ছেড়ে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন পড়েছে।
শুধুই তেলুগু দেশম নয়, বিজেপি হাত বাড়িয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির দিকেও। সেখান থেকেও দুজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তিন তালাক বিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের মতো যে বিলে কোনওভাবেই বিরোধীদের সমর্থন পাওয়া যাবে না এবং বিলগুলি পাশ হচ্ছেই না, সেই বিল পাশ করানোর জন্য রাজ্যসভায় গরিষ্ঠতা চাই। আর এখন বিজু জনতা দল, জগন্মোহন রেড্ডি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিকে পাশে বিজেপি পাবেই ধরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অমিত শাহের আসল লক্ষ্য একক গরিষ্ঠতা। গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি নিজেই আজ বলেছেন, কংগ্রেস নেতৃত্ব সঙ্কটে ভুগছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসা মোটেই সহজ নয়।