বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লেখক অরবিন্দ পরাশর সম্প্রতি তাঁর তিন খণ্ডের প্রেমের উপন্যাস ‘অল ইউ নিজ ইস লাভ’-এর শেষ খণ্ডটি প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, একবার সংস্থার শীর্ষপদ আরোহণ করলে কর্পোরেট দম্পতিদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকে না বলে যে ধারণা রয়েছে মানুষের, তা একেবারেই ভ্রান্ত। কিছু ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে থাকলেও, সবক্ষেত্রে নয়। এমন অনেক ‘সিইও-দম্পতি’ রয়েছেন, যাঁরা পরিবারের সঙ্গে ছুটি অথবা সময় কাটানোর বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। পুরোদস্তুর লেখক হওয়ার আগে ডেল, জেনপ্যাক্ট, জিই’র মতো বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থার শীর্ষপদ সামলেছিলেন অরবিন্দ। সেই অভিজ্ঞতা নিজের লেখনীতে ব্যবহারও করেন তিনি। অরবিন্দর সাফ কথা, ‘প্রেম হল এমন একটি ধারণা, যেটা সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। বদলে যায় শুধু প্রেমের প্রতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আন্তরিকতা, দায়বদ্ধতা।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘অনেকসময় পেশাদার জীবনে আমরা বড্ড বেশি যান্ত্রিক হয়ে যাই। যার প্রভাব প্রেম জীবনে পড়তে বাধ্য। তাই বাড়ি আর অফিসকে সবসময় আলাদা রাখতেই হবে।’
তবে, বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের যুগে কর্মক্ষেত্রের প্রেম যে উত্তরোত্তর বাড়ছে, তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন প্রথমসারির কর্পোরেট সংস্থা স্টেলার সার্চ’স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন শৈলজা দত্ত। তাঁর মতে, ‘বর্তমান কর্পোরেট পরিবেশে কর্মীরা গোটা দিনের বেশিরভাগটাই অফিসে কাটান। ফলে কেউ তাঁর ভবিষ্যতের জীবনসঙ্গীকে অফিসেই খুঁজে পাবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।’ তবে, সতর্কবার্তাও দিয়েছেন শৈলজা। তাঁর কথায়, একই সংস্থায় বা একই বিভাগে কাজ করাটা কর্পোরেট দম্পতিদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হতে পারে। কারণ সেখানে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়।