বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গতকালই আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল ‘ফণী’র সমতুল বেগ নিয়ে গুজরাতের উপকূল শহর সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে আছড়ে পড়বে ‘বায়ু’। কিন্তু গভীর রাতে সমুদ্রপথেই সে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এদিন হাওয়া অফিসের সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গুজরাতের ভেরাবল উপকূল থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ‘বায়ু’। গতিপথও বদলে হয়েছে পশ্চিমাভিমুখ। ফলত, সরাসরি সৌরাষ্ট্র কিংবা কচ্ছে আছড়ে পড়ছে না ‘বায়ু’। তবে উপকূল বরাবর আমরেলি, গির সোমনাথ, জুনাগড়, পোরবন্দর, রাজকোট, জামনগর, দেবভূমি দ্বারকা এবং কচ্ছের একটা অংশ ছুঁয়ে যাবে এই ঘুর্ণিঝড়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিউকেও আংশিক স্পর্শ করবে ‘বায়ু’। আর সেই কারণেই এদিন বিকেল থেকেই ওই সব এলাকায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় একটি বুলেটিন প্রকাশ করে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০-১০০কিলোমিটার। তাতে বেশকিছু জেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে প্রায় ৫৬০টি গ্রাম। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দ্রুত কাজও শুরু করে দিয়েছে রাজ্যে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা গুজরাত উর্জা বিকাশ নিগম লিমিটেড।
আমেদাবাদের আবহাওয়া অফিসের অতিরিক্ত অধিকর্তা মনোরমা মহান্তি জানিয়েছেন, সমুদ্রেই গতিপথ বদল করেছে ‘বায়ু’। ফলে সরাসরি ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। দিল্লির আবহাওয়া অফিসের অতিরিক্ত অধিকর্তা দেবেন্দ্র প্রধানও বলেছেন, ‘গুজরাতের উপকূল বরাবর সমান্তরাল পথ ধরে পশ্চিমদিকে এগচ্ছে ‘বায়ু’। তার জেরে প্রবল ঝড়ো হাওয়া আছড়ে পড়বে ওইসব উপকূল এলাকায়।’
গুজরাতের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পঙ্কজ কুমার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে মূল ভূখণ্ডে ‘বায়ু’ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে উপকূল বরাবর বহু এলাকা প্রবল ঝড়ের কবলে পড়বে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঠেকাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। সোমনাথ মন্দির বন্ধ না রাখা হলেও পর্যটকদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। রাজ্যের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং চূড়াসামা বলেছেন, ‘মন্দিরের পুজো-অর্চনা বন্ধ করার এক্তিয়ার মানুষের নেই। তাই মন্দির বন্ধ রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। তবে দুর্যোগ মাথায় নিয়ে পর্যটকদের মন্দিরে না যাওয়াই ভালো।’