বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বিহারে ক্ষমতায় রয়েছে এনডিএ। কিন্তু বিধানসভায় সবচেয়ে বড় দল লালুপ্রসাদের আরজেডি। যদিও লোকসভা ভোটের ফলে পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ল আরজেডি-কংগ্রেস-আরএলএসপি-হ্যাম-ভিআইপি মহাজোট। একচ্ছত্র জয়ধ্বজা ওড়াল বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপি। ২০১৪ সালে বিজেপি এই রাজ্যে ২২টি আসনে জিতেছিল। যদিও নীতীশের জেডিইউয়ের সঙ্গে জোটরক্ষার স্বার্থে মাত্র ১৭টি আসনে লড়তে রাজি হয়ে যায় অমিত শাহের দল। নীতীশ গতবার মাত্র দু’টি আসনে জিতলেও এবার তাঁর দলকে বিজেপি ছেড়ে দেয় ১৭টি আসন। বাকি ছ’টি আসন ছাড়া হয় রামবিলাসের এলজেপিকে। বিজেপির এই জোট ফর্মুলা নিশ্চিতভাবেই আশীর্বাদ হয়ে ফিরল এনডিএ শিবিরের কাছে। আর বিহারে এবার সর্বকালীন খারাপ ফলের মুখে পড়ল কংগ্রেস। একই দশা লালুর আরজেডিরও।
উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পাটনা সাহিব আসন। গতবারের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবার কংগ্রেসের টিকিটে এই আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। মর্যাদার লড়াই জিততে ‘বিহারিবাবু’র বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। পাটনা সাহিবে শত্রুঘ্নকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন রবিশঙ্কর। নজর ছিল বেগুসরাই আসনের দিকেও। সেখানে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল সিপিআইয়ের তরুণ তুর্কি নেতা কানহাইয়া কুমারের। গিরিরাজ এই আসনে তিন লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন কানহাইয়াকে।
মহাজোট শিবির থেকে আরএলএসপি, হ্যাম ও ভিআইপিকে ১১টি আসন ছাড়া হয়েছিল। কংগ্রেস-আরজেডির এই তিন শরিক দলকে কার্যত শূন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে। তার মধ্যে হ্যাম সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি হেরেছেন গয়া আসন থেকে। অন্তত ২৮টি আসনে এনডিএ প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান লক্ষাধিক।
বিহারের মতোই বিরোধীরা পুরোপুরি ধরাশায়ী ঝাড়খণ্ডেও। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা হাজারিবাগ আসন থেকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন (জেএমএম) ও বাবুলাল মারান্ডিকে (জেভিএম-পি) হারতে হয়েছে বিজেপির কাছে। ধানবাদ আসনে বিজেপির কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছেন কংগ্রেসের কীর্তি আজাদ।