বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই এই কেন্দ্রে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সমর্থনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। এমনকী, প্রার্থী নিজেও মাটি কামড়ে পড়েছিলেন আমেথিতে। সেই তুলনায় রাহুলকে কিন্তু আমেথিতে সেভাবে দেখা যায়নি। মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় করা রোড শো ছাড়া রাহুল আর কোনও প্রচার করেননি। রাহুলের শূন্যস্থান পূরণ করেন তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা। কিন্তু, প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতি আমেথির মানুষের কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি। আমেথির বিজেপি সমর্থক শিবপূজন পাণ্ডের দাবি, রাহুল বরাবরই আমেথিকে উপেক্ষা করেছেন। আর সেটাকে হাতিয়ার করেই স্মৃতি বাজিমাত করেছেন। আমেথির বিজেপি প্রবক্তা গোবিন্দ সিং বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতি তো লাপতা (নিখোঁজ) সাংসদ ছিলেন। উল্টোদিকে, ২০১৪ সালে হারলেও গত পাঁচ বছরে নিয়মিত আমেথি এসেছেন স্মৃতি। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়িয়েছেন। আমেথির প্রতি তাঁর নিষ্ঠাকেই প্রমাণ করল এই জয়।’ তাঁর আরও সংযোজন, গত পাঁচ বছরে আমেথিতে বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন স্মৃতি। তারই প্রতিদান দিল মানুষ। আগামী দিনে আমেথির বাড়ি-বাড়ি শৌচালয় তৈরি ও পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়াকেই মূল লক্ষ্য করেছেন স্মৃতি বলে জানান বিজেপি মুখপাত্র। আর অপ্রত্যাশিত এই জয় পেয়ে স্বয়ং প্রার্থীর একবাক্যের প্রতিক্রিয়া, ‘কে বলেছে আকাশে ছিদ্র করা যায় না।’
উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ‘সবেধন নীলমনি’ ছিল আমেথি এবং রায়বেরিলি লোকসভা আসন। ১৯৮০ সাল থেকে বংশপরম্পরায় আমেথিতে জয়ী হয়ে আসছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে সঞ্জয় গান্ধী, তারপর রাজীব গান্ধী এবং ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধী এই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন। মাঝে ১৯৯৮ সালে আমেথিতে জয় পেয়েছিল বিজেপি। তারপর ২০০৪ সাল থেকে এখানে টানা রাহুলই জিতে আসছিলেন। তাই এবারের হারকে শুধু রাহুলেরই নয় গোটা কংগ্রেসের প্রতীকী বিপর্যয় হিসেবেই দেখছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহল।