বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে কনৌজ কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৯ হাজার ৯০৭টি ভোটে জিতেছিলেন ডিম্বল। তাঁকে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলেন বিজেপি প্রার্থী সুব্রত পাঠক। এবারও সুব্রতকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে গত পাঁচ বছরে বদলে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ। তখন অখিলেশ যাদব ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তার সুবিধা কিছুটা হলেও ডিম্পল পেয়েছিলেন। তবে আলাদা লড়ে বিএসপি প্রার্থী নির্মল তিওয়ারি পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮৫টি ভোট। এবার সপা-বিএসপি জোট হওয়ায়, তার পুরো সুবিধা ডিম্পল পাবেন। আর কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে তাঁর। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশুতোষ কুমার জানিয়েছেন, ডিম্পলের কেন্দ্রে প্রায় দু’লক্ষ ৩০ হাজার যাদব রয়েছেন। প্রায় সমান সংখ্যক মুসলিমের বাস কনৌজে। যাদব-মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের একছত্র দাবিদার সপা। এই কেন্দ্রে প্রায় দু’লক্ষ ৫০ হাজার দলিত ভোটই নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। গতবার লোকসভা ভোটে ছাবরামু, তির্বা, বিধুনা, কনৌজ সদর কেন্দ্রে খুব বেশি ভোট পাননি ডিম্পল। দলিত অধ্যুষিত এই এলাকার বিএসপি প্রার্থী নির্মল তিওয়ারি এই কেন্দ্রগুলিতে অনেক এগিয়ে ছিলেন। এবার সপা এবং বিএসপি জোট হওয়ায় দলিত ভোটের পুরোটা ডিম্পলের ঝুলিতে পড়ার সম্ভাবনা।
এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। তাই উৎপাদিত ফসলের দাম না পাওয়া এবার এলাকায় বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে। আলুচাষি রমেশ যেমন বলছেন, এবার অত্যধিক ফলনের জন্য আলু ফেলে দিতে হয়েছে। এখানে বড় কোনও বাজার নেই। তির্বার কৃষক দুলারে যেমন বলছেন, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গবাদি পশুর হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য সরকারের অনেক কিছু করার আছে। সুগন্ধী ব্যবসায়ী দীনেশ প্রকাশ জৈন বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগের অভাবে তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সংসদ সদস্য নবাব সিং যাদব চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার কিছুই করেনি। এসপি আমলে বসানো বোর্ডগুলি তুলে আদিত্যনাথ সরকার ভিত্তিপ্রস্তর বসাতে শুরু করেছে। এই সরকারের আমলে সুগন্ধী পার্ক, বড় বাজার তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা ডিম্পল যাদবের জয় নিয়ে ভাবছি না। তাঁর জয়ের ব্যবধান কত বাড়ে সেটাই দেখার।’ বিজেপির আনন্দ সিং এই অভিযোগ উড়িয়ে বলেছেন, যোগী সরকারের আমলে অনেক কাজ হয়েছে।