বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
২০১৪ সালে বারণসী থেকে দাঁড়িয়েছিলেন মোদি। এই দেবভূমিকে নতুন করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির সঙ্গেই বেনারস সঙ্গীত ঘরানাকে বাঁচাতে অত্যাধুনিক সঙ্গীত অ্যাকাডেমি গড়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। বারাণসী থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদি। টানা পাঁচ ছিলেন বছর কুর্সিতে। সঙ্গীতের বেনারস ঘরানাকে বাঁচাতে মোদির আশ্বাসে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ওস্তাদ বিসমিল্লা খান, পণ্ডিত রবিশঙ্করের উত্তরসূরিরা। যেমন স্বপ্ন দেখেছিলেন পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত শিল্পী চানুলাল মিশ্রও। বেনারস ঘরানার ওই সঙ্গীত অ্যাকাডেমি গড়ে তুলতে অনেক দৌড়ঝাঁপও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সব চেষ্টাই তাঁর ব্যর্থ হয়েছে। কেউই সদ্দিচ্ছা দেখাননি। কথা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসন, পুরসভার কাছে দরবার করেও কোনও কাজ হয়নি। তাই অক্ষেপ নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে অনেক কাজই করেছেন। পরিচ্ছন্ন হয়েছে দেবভূমি। ঝা চকচকে রাস্তাঘাট। অথচ, প্রতিশ্রুতি মতো সঙ্গীত অ্যাকাডেমি গড়ার ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ নিলেন না প্রধানমন্ত্রী !’
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বেনারস ঘরানা অতি প্রাচীন। এই ঘরানা থেকেই উঠে এসে বিশ্বজয়ী হয়েছেন ওস্তাদ বিসমিল্লা খান, পণ্ডিত রবিশঙ্কর, গিরিজা দেবী, সিদ্ধেশ্বরী দেবী কিংবা পণ্ডিত আনোকে লাল সহ একাধিক সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। এদিন চানুলাল বলছিলেন, আমার বয়স এখন ৮৩ বছর। বেনারস ঘরানার আমার সমসাময়িক সব শিল্পীই প্রায় চলে গিয়েছেন। তাদের শিল্প-সৃষ্টি আজ ভুলতে বসেছে বারাণসীর বর্তমান প্রজন্ম। তাই যেভাবেই হোক সঙ্গীত অ্যাকাডেমি গড়ে বেনারস ঘরানাকে বাঁচাতেই হবে। আর এই বাঁচানোর লক্ষ্যেই নতুনভাবে লড়াই শুরু করতে চান চানুলাল মিশ্র। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন রাজন ও সাজন মিশ্রও। দু’জনেই বেনারস ঘরানার সঙ্গীতের নামকরা শিল্পী। এদিন তাঁরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আমরা স্থানীয় প্রশাসন, পুরসভাকে সঙ্গীত অ্যাকাডেমি গড়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। এবার ভোটেও ফের ইস্যুটিকে সামনে এনেছেন তাঁরা। তাতেও কাজ না হলে বেনারস ঘরানাকে বাঁচাতে নতুন আন্দোলনে নামবেন চুনীলাল, রাজন-সাজনরা।