বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বালাকোট হামলা নিয়ে শুধু তথ্য জানতে চেয়েই থেমে থাকেননি পিত্রোদা। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে হামলা চালানোর নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা। ভোটের ময়দানে এভাবে ব্যাটের ডগায় বল পেয়ে ছক্কা হাঁকাতে ছাড়লেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘জনতা মাফ নেহি করেগি’ হ্যাসট্যাগে প্রত্যাঘাত চালান তিনি। মোদির তোপ, দেশ আগে থেকেই যা জানে, তা মেনে নিলেন কংগ্রেস রাজপরিবারের অনুগত সভাসদ। সেটা হল, কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়নি। কিন্তু এটা নতুন ভারত। জঙ্গিরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই জবাব দেব। সুদ সমেত। বিরোধীরা আগেও আমাদের বাহিনীর অপমান করেছে। ফের করল। দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন, বিরোধী নেতাদের কাছে তাঁদের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করুন। তাঁদের বলে দিন, ১৩০ কোটি ভারতবাসী এইসব আজগুবি মন্তব্য ভুলবেও না, সেজন্য ক্ষমাও করবে না। দৃঢ়ভাবে আমাদের বাহিনীর পাশে রয়েছে ভারত। বিরোধী শিবির সন্ত্রাসের প্রতি সহানুভূতিশীলদের স্বাভাবিক বাসভূমি।
প্রধানমন্ত্রীর মতোই পিত্রোদার মন্তব্যের পর তীব্র আক্রমণ চালান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। ট্যুইটারে অমিত শাহের তোপ, বিরোধীদের হৃদয় কাঁপে জঙ্গিদের জন্য, আমাদের কাঁপে তিরঙ্গার জন্য। বিরোধীদের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্যটা স্পষ্ট। ওরা সেনাকে সন্দেহ করে, আমরা গর্ব অনুভব করি। সাংবাদিক সম্মেলনে অরুণ জেটলি বলেন, পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলগুলিতে এধরনের মন্তব্য হিট হবে। পিত্রোদা মনে করেন, আমরা যা করেছি তা ভুল ছিল। কিন্তু অন্য কোনও দেশ এই পদক্ষেপকে ভুল বলে মনে করেনি। এমনকী অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনও এরকম কোনও মন্তব্য করেনি। এটা একমাত্র পাকিস্তানের মতামত। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, একটি রাজনৈতিক দলের রোল মডেল হলেন এরকম ব্যক্তিরা।
বিজেপি নেতৃত্বের আক্রমণে প্রবল চাপে পড়ে আসরে নামেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর ট্যুইট, কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলওয়ামা হামলা মোদি সরকারের বড় ব্যর্থতা। বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক ভারতীয় বায়ুসেনার সাহসিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ। কোনও একজনের ব্যক্তিগত মতামতকে ব্যবহার করে বিষ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত মোদিজি ও বিজেপি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বলিদানের পিছনে না লুকিয়ে তাঁদের বরং চাকরির সঙ্কট, কৃষিক্ষেত্রের বেহাল দশা, নোট বাতিল ও জিএসটির জেরে তৈরি হওয়া সমস্যা এবং আর্থিক ক্ষেত্রের গতি মন্থরতা নিয়ে দেশকে জবাব দেওয়া উচিত। জলঘোলা শুরু হওয়ায় পিত্রোদাও পরে দাবি করেন, এটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন তোলার অধিকার তাঁর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় সেই প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব মেলেনি। পিত্রোদার কথায়, শুধু বলেছিলাম , আমরা কি আরও তথ্য পেতে পারি? কেন এত ধন্দ, তা জানি না। গণতন্ত্রে প্রশ্ন তোলার অধিকার রয়েছে। বিতর্ক, আলোচনা, কথাবার্তা চালানো ভালো বিষয়। আমার প্রশ্ন তোলা নিয়ে এত প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া উচিত নয়।