বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের ভোটপ্রচারের খরচের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। যার জেরে ৪০ থেকে বেড়ে তা দাঁড়ায় ৭০ লক্ষ টাকা। সেইমতো একজন প্রার্থী তাঁর প্রচারের জন্য পোস্টার, ব্যানার, জনসভা, যানবাহন, সংবাদপত্র ও টিভিতে বিজ্ঞাপন ইত্যাদির পিছনে কত টাকা ব্যয় করেছেন, তার একটা বিস্তারিত খতিয়ান কমিশনে জমা দেন। পাশাপাশি, নিয়ম অনুযায়ী সেই সমস্ত খরচের সবটাই চেক মারফৎ মেটাতে হয় প্রার্থীদের।
নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া সেই তথ্য অনুযায়ী পুনের ওই তিন কেন্দ্রের মধ্যে প্রচারে সবথেকে বেশি টাকা খরচ করেছিলেন শিরুরের এনসিপি প্রার্থী দেবদূত নিকম। ৬৫ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা। তারপরেই রয়েছেন সুপ্রিয়া সুলে। ৬৪ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। যেখানে দেবদূতের প্রতিদ্বন্দ্বী শিবাজিরাও পাতিল প্রচারে খরচ করেছিলেন ৬২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। এবং দেবদূতকে পরাস্ত করে পরপর তিনবারের জন্য শিরুর কেন্দ্র ধরে রাখেন তিনি। অন্যদিকে, সুপ্রিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা আম আদমি পার্টির সুরেশ খোপাড়ে ভোট প্রচারে খরচ করেন ৩৩ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। যেখানে ওই কেন্দ্র থেকে শিবসেনার সমর্থনে লড়া রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ (আরএসপি) দলের মহাদেও জনকর ব্যয় করেছিলে ২২ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয়বারের জন্য বারামতী কেন্দ্র ধরে রাখলেও শারদকন্যা সুপ্রিয়া জিতেছিলেন হাতে গোনা ভোটে।
এছাড়া পুনে ও রায়গড় জেলার অন্তর্গত মাভাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরাও ভোটারদের কাছে টানতে খরচ করেছিলেন বিপুল অর্থ। এই কেন্দ্রের এনসিপি প্রার্থী রাহুল নারউইকার ভোটপ্রচারে ব্যয় করেছিলেন ৫৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। যেখানে পিজান্ট ওয়াকার্স পার্টির (পিডব্লুপি) লক্ষ্মণ জগতপ এবং শিবসেনার শ্রীরং বার্নে খরচ করেছিলেন যথাক্রমে ৫০ লক্ষ ৩০ হাজার এবং ৪২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা। যদিও, মাভাল কেন্দ্রটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপির জোটসঙ্গী। অন্যদিকে, পুনে কেন্দ্রের ২৮ প্রার্থীর মোট খরচ ছিল ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা। যেখানে সবথেকে বেশি অর্থ ব্যয় করেছিলেন, কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ কদম। ৪৯ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। তারপরে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অনিল শিরোল (৩৬ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা), প্রাক্তন আমলা অরুণ ভাটিয়া (৩৬ লক্ষ ১৩ হাজার), মুম্বই নবনির্মাণ সেনার দীপক পাইগুড়ে (২৯ লক্ষ ৬৬ হাজার) এবং আপ প্রার্থী সুভাষ ওয়ারে (২৯ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা)।