বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এমন শক্তিশালী ও যোগ্য প্রার্থী হতে হবে যিনি আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে ভোটে হারানোর ক্ষমতা রাখেন। অথচ, তেমন কোনও প্রার্থীকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যাঁদের পাওয়া যাচ্ছে তাঁরা এমআইএম সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে একেবারেই আগ্রহী নন। কেনই বা হবেন? তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হায়দরাবাদ লোকসভা আসনটি দখলে রেখেছে ওয়াইসি পরিবার। পার্টির পুরো নাম অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন ওরফে এআইএমআইএম। প্রথমে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সালাহউদ্দিন ওয়াইসি এবং পরে তাঁর ছেলে আসাদউদ্দিনের খাসতালুক এই আসনটি। সারা ভারতে এই একটিমাত্র আসনই রয়েছে তাঁদের। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে কংগ্রেস ও বিজেপির রণকৌশল একটিই, যে কোনও প্রকারে ওয়াইসিকে হারানো। তেলেঙ্গানার শাসকদল টিআরএসের জোটসঙ্গী ওয়াইসি দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই দলের কট্টর সমালোচক বলে পরিচিত।
তবে, বিষয়টি যে মোটেই সহজ নয় তা পদে পদে টের পাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির দুই যুযুধান দল। ১৯৮৪ সাল থেকে এই আসনে জিতে আসছে এআইএমআইএম। গোটা লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম ভোটাররা সংখ্যাগরিষ্ঠ। গত বছর এই আসনের অধীনে থাকা সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ছ’টিতেই ওয়াইসির দলের প্রার্থীরা জিতে বিধায়ক হয়েছেন। ফলে সেখানে ওয়াইসির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে ওই দুই দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই রাজি হননি।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আসনে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে প্রার্থী কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু আজহার সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বলেই দলীয় সূত্রে খবর। হায়দরাবাদে কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার জন্য অন্তত ৪০ জন আবেদন করেছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে নামপল্লি বিধানসভা আসনে গতবারের পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজ খান, চারমিনার বিধানসভা আসনে গতবার হেরে যাওয়া মহম্মদ গাউস এবং কংগ্রেসের সংখ্যালঘু মোর্চার চেয়ারম্যান শেখ আবদুল্লা সোহেলের নাম এই কেন্দ্রের জন্য ভাবা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিজেপির অবস্থাও তথৈবচ। প্রাথমিকভাবে হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে গোশামহলের বিধায়ক টি রাজা সিংকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তিনি তেলেঙ্গানার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক। প্রার্থী হতে গেলে তাঁকে বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিতে হবে। সেকথা ভেবেই সে পথে পা বাড়ায়নি অমিত শাহের দল। কয়েকমাস আগেও এই আসনের জন্য বিজেপির প্রথম পছন্দ ছিলেন স্বামী পরিপূর্ণানন্দ। কিন্তু সূত্রের খবর, তিনি নির্বাচনী রাজনীতিতে নামতে চান না বলে জানিয়েছেন পার্টি নেতৃত্বকে। বর্তমানে বিকল্প হিসেবে ওয়াইসির বিরুদ্ধে সতীশ আগরওয়ালকে প্রার্থী করার কথা ভাবা হচ্ছে। তিনি ২০০৯ সালে এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। বলাই বাহুল্য ওয়াইসির কাছে একবার পরাজিত হওয়া প্রার্থীকে নিয়ে সেভাবে আশাবাদী নন কেউই। তাঁকে ছাড়াও সৈয়দ শাহজাদি ও বিজেপি কর্মী নন এমন দু’জনের নামও জল্পনায় রয়েছে। তেমন হলে তাঁরা বিজেপি সমর্থিত নির্দল হিসেবেও এই আসনে লড়তে পারেন। প্রার্থী খুঁজে না পেলেও ওয়াইসির খাসতালুকে জয়ের জন্য আশাবাদী বিজেপি নেতা এন রামন্দ্র রাও। তাঁর যুক্তি, ২০১৪ সালে হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে ৩২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি প্রার্থী ভাগবন্ত রাও। যা কংগ্রেস ও টিআরএস প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি। তাই এবার হিসেব উল্টে যেতেই পারে।