বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সরকারি অনুষ্ঠানেও কংগ্রেসকে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশে থাকা ভারতীয়দের বৃহত্তর একটি অংশ। প্রত্যক্ষভাবে তাদের সঙ্গে লোকসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও প্রবাসী ভারতীয়দের অনেকেরই পরিবার পরিজন আত্মীয় এদেশের ভোটার। আর মূলত তাদের ভোটই মোদির টার্গেট। তাই সরকারি মঞ্চের প্রচলিত মর্যাদাকে একপ্রকার অগ্রাহ্য করেই কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান প্রধানমন্ত্রী।
একইসঙ্গে নষ্ট করেননি বারাণসীর এমপি হিসেবে নিজের নির্বাচনী প্রচার করার পড়ে পাওনা চোদ্দ আনা সুযোগও। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) কুম্ভের মতো প্রায় রাজকীয় যজ্ঞের আয়োজনের পাশাপাশি বারাণসীতে ১৫ তম প্রবাসী ভারতীয় দিবসের আয়োজন ‘কাশীনিবাসীদের অবদান এবং আবেগ ছাড়া অসম্ভব ছিল’ মন্তব্যে কৌশলে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালালেন মোদি। বললেন, ‘কাশীনিবাসীদের আমার প্রণাম। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। এলাকার এমপি হিসেবে এই আয়োজন দেখে আমিও অবাক। গর্বিতও।’
কংগ্রেসের গায়ে দুর্নীতির দাগ লাগাতে রাজীব গান্ধীর নাম না করেও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কয়েক হাজার প্রবাসী ভারতীয়র সামনে মোদি বললেন, দেশের এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দিল্লি থেকে সরকারি কোনও প্রকল্পে টাকা দিলে আদতে গ্রামে বা প্রকল্পের জায়গায় মাত্র ১৫ শতাংশ অর্থ পৌঁছয়। বাকি ছুমন্তর। কটাক্ষের সুর চড়ান মোদি। আক্রমণ চড়াতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্যা কী সেটা ধরতে পেরেছিল। অর্থ গায়েব হয়ে যাচ্ছে তাও স্বীকার করেছিল। কিন্তু বহু বছর দেশ শাসন করার পরেও সেই রোগ সারানোর কোনও চেষ্টাই করেনি।
এরপরেই তাঁর স্বচ্ছতার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার কোনওভাবেই দুর্নীতিকে প্রশয় দেয় না। তাই ক্ষমতায় আসার পর লুট আটকেছি। ৫ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি সরাসরি নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়েছি। কংগ্রেসকে কাঠগড়ার দাঁড় করাতে মোদি আরও বলেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে যেত ভুয়ো নাগরিকরা। বাস্তবে যাদের কোনও অস্তিত্বই নেই, এমন সাত কোটি ভুয়ো নাগরিক সরকারি প্রকল্পের টাকা তুলেছে। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই ভুয়ো নাগরিকদের তালিকা বাতিল করেছি। গত সাড়ে চার বছরে আমাদের সরকারের গায়ে কোনও দুর্নীতির দাগ পড়েনি। কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন। কংগ্রেস সরকারকে অকর্মণ্য প্রমাণ করতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় যে প্রবাসী ভারতীয় দিবস শুরু করেছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তা জৌলুস হারিয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়ে ফের তার জৌলুস ফিরিয়ে এনেছেন।