বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই। একদিকে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ আবু তাহের খান, অন্যদিকে বিজেপির গৌরীশঙ্কর ঘোষ ও বাম-কংগ্রেস জোটের অন্যতম প্রধান মুখ মহম্মদ সেলিম। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বর্তমান সাংসদ তথা তৃণমূলের খলিলুর রহমানের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের মোর্তজা হোসেন। এছাড়াও এই কেন্দ্রে নজর থাকবে বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষের দিকে। মালদা দক্ষিণ আসনে আবার বর্তমান সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর ছেলে তথা কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর প্রেস্টিজ ফাইট। তৃণমূলের শাহনাওয়াজ আলি রায়হান ও বিজেপির শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আর মালদা উত্তরে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের মোস্তাক আলমের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিজেপির বর্তমান সাংসদ ও প্রার্থী খগেন মুর্মু।
তৃতীয় দফায় বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই দফায় মোতায়েন থাকবে মোট ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যে শুধু মালদহেই ১৪৪ কোম্পানি। জঙ্গিপুরে থাকছে ৬৪ কোম্পানি ও মুর্শিদাবাদে ১২৬ কোম্পানি বাহিনী (কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার ১২ কোম্পানি সহ)। এছাড়াও তিন জেলায় মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম। এই দফায় মোট বুথ ৭৩৬০টি। ভোটার রয়েছেন মোট ৭৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬৫১ জন। স্পর্শকাতর বুথ সর্বাধিক জঙ্গিপুরে, মোট ৭৬২টি। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সংখ্যাটা ৭১৫টি, মালদহ দক্ষিণে ৭০২টি ও মালদহ উত্তরে ৬৫১টি।
এই দফায় ৯৪টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তার মধ্যে গুজরাতের সুরাত আসনটি ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। আবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফায় (আগামী ২৫ মে)। পরিবর্তে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যাওয়া মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রটিকে যুক্ত হয়েছে এই পর্বে। ২০১৯ সালে এই ৯৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৭৫টি আসন। ইন্ডিয়া জোটের দখলে ছিল মাত্র আটটি। এনসিপি ও শিবসেনা ভেঙে যাওয়ায় তাদের জেতা আসনকে কোনও পক্ষেই রাখা যায়নি।
এই দফায় আমেদাবাদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অখিলেশ-পত্নী ডিম্পল ছাড়াও এই পর্বে ভাগ্য নির্ধারণ হবে কাকা শিবপাল ও রামগোপালের ছেলে আদিত্য ও অক্ষয়ের। তবে সবচেয়ে নজরকাড়া লড়াই সম্ভবত বারামতীতে, এনসিপির পরিবারের ননদ সুপ্রিয়া সুলে বনাম বৌদি সুনেত্রা পাওয়ারের।