বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
৫ জানুয়ারি থেকে ৩ মে—চার মাস সন্দেশখালির ঘটনাকে সারা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল ভোটে ফায়দা তোলা। গত শনিবার (৪ মে), সামাজিক মাধ্যমে আসা একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও দেখিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁসের দাবি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর বাকি পাঁচ দফায় এই ভিডিওকেই হাতিয়ার করছে তারা। সেই সমীকরণে সোমবারও মঙ্গলকোট ও পাণ্ডুয়াতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এদিন দু’টি জনসভা করেন অভিষেক। দুই জায়গাতেই অভিষেক স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন, সন্দেশখালিতে নারীঘটিত কাণ্ডটি ছিল বিজেপির পরিকল্পনা। লক্ষ্য ছিল বাংলাকে অসম্মান। অভিষেকের কথায়, ‘বিজেপি নেতারা সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় ভাষণ দিতেন। কিন্তু বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি নেতাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছিল। বিজেপি স্লোগান তুলেছিল, সন্দেশখালি তৃণমূলের চেয়ার করবে খালি। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, সন্দেশখালিতে ভারতীয় জনতা পার্টি জালি। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি ও বাংলা বিরোধীদের খেলা শেষ।’
কেন্দ্রের রিপোর্ট যখন কলকাতাকে নিরাপদতম শহরের তকমা দিচ্ছে, আবার তখনই শাসক বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির অস্ত্র ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল ঘটনা! অভিষেক বলেন, ‘আমরা গোধরা, পুলওয়ামা শুনেছি। সন্দেশখালি দেখলাম। বিজেপি কতটা নীচে নামতে পারে, কতটা নির্লজ্জ হতে পারে, তা দেখা গেল। বাংলাকে দেশের কাছে ছোট করেছে বিজেপি। বাংলার ভাবমূর্তি কলুষিত করেছে ওরা।’ ওই স্টিং অপারেশনের সূত্রে ধরে আত্মবিশ্বাসী অভিষেকের বার্তা, ‘সন্দেশ ঢাল করেছিল বিজেপি, তাদের বিসর্জন হবেই।’