নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একের পর এক বোমা উদ্ধার। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আস্ফালন। ভোট যত এগচ্ছে, ততই তপ্ত হচ্ছে মুর্শিদাবাদ। কার্যত ঘুম উড়েছে কমিশন কর্তাদের। প্রশ্ন একটাই, তৃতীয় দফায় কি গত দু’দফার ধারা বজায় রাখা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই শনিবার দফায় দফায় মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, ভোটের দু’দিন আগেই মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যে নিযুক্ত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক। ইতিমধ্যে জেলাগুলিকে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরাদাস্ত করা হবে না। অবিলম্বে সম্ভাব্য গোলমালকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেও আবেদন করেছে কমিশন। 
রাজ্যে ভোট গ্রহণের তৃতীয় দফায় চারটি আসনের জন্য মোট ৩৩৪ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে জঙ্গিপুর আসনে ৬৪ কোম্পানি, মালদহে ১৪৪ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদে ১১৪ কোম্পানি ও কৃষ্ণনগরে (মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের একাংশ) ১২ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, বুথের বাইরে ঝামেলা ঠেকাতে কুইক রেসপন্স টিম, হেভি রেডিও ফ্লাইং ভেহিকল সহ যাবতীয় ব্যবস্থা মজুত রাখা হচ্ছে বলে খবর। তা সত্ত্বেও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না। 
এদিকে, শনিবারও এক পুলিস আধিকারিককে বদল করেছে কমিশন। ভগবানগোলা বিধানসভার অন্তর্গত রানিতলা থানার ওসিকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তাঁকে নির্বাচনী কাজ থেকে সরিয়ে পুলিস হেড কোয়ার্টারে পোস্টিং করা হয়েছে। এদিন কলকাতার আনন্দপুর থানার নতুন ওসি হয়েছেন জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ডায়মন্ডহারবার থানার নতুন আইসি হিসেবে নিযুক্ত হলেন অমরজিৎ বিশ্বাস। তিনি ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার ডিআইবিতে ছিলেন। তৃতীয় দফা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বেআইনি সামগ্রী উদ্ধারের অঙ্ক ৩০০ কোটি টাকা ছাড়াল। শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে নগদ অর্থ, বেআইনি মদ, মাদক ও বিভিন্ন অবৈধ সামগ্রী মিলিয়ে মোট ৩১০.৬৪ কোটি টাকার সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে রাজ্যে।