বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
কী ধরনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে? ইলেকশন ওয়াচের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ১৫৩ (সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়ানো), ১৪৯ (হাঙ্গামা পাকানো), ৩৫৪ (শ্লীলতাহানি), অস্ত্র আইন সহ অসংখ্য গুরুতর অভিযোগ রয়েছে রাজ্য বিজেপি’র এই প্রথম সারির নেতার বিরুদ্ধে। ২৭টির মামলার মধ্যে ২২টি মামলারই এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আর বিষয় সম্পত্তি? সেখানেও শীর্ষে বিজেপিই। শুধু চতুর্থ দফা নয়, আগের তিন দফা মিলিয়েও সব প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী তথা সেখানকার রাজ পরিবারের গৃহবধূ অমৃতা রায়। মনোনয়ন পত্রে দাখিল করা তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান যে কাউকে চমকে দিতে পারে। অমৃতার মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৫৪ কোটি টাকা। প্রায় পুরোটাই অবশ্য তাঁর স্বামীর। আর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ২৫ লক্ষ টাকার। সম্পত্তির দিক থেকে চতুর্থ দফার প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২১০ কোটি টাকা।
১৩ মে চতুর্থ দফায় আসানসোল, বহরমপুর, বর্ধমান (পূর্ব), বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট—এই আট আসনে ভাগ্যপরীক্ষায় নামছেন ৭৫ জন প্রার্থী। ইলেকশন ওয়াচের তরফে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে ১৭ শতাংশ (১৩) প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি ধারায় মামলা। ২১ জন বা ২৮ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি। প্রার্থীদের গড় সম্পদ—তা হল ১২.০৮ কোটি টাকা! মোট সম্পত্তির হিসেবে যেমন শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী, গড় সম্পত্তির নিরিখেও শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। তাঁদের গড় সম্পদের পরিমাণ ৭২ কোটি টাকা। তৃণমূলের প্রার্থীদের গড় সম্পদের (৩৬ কোটি) ঠিক দ্বিগুণ।
সামগ্রিকভাবে সারা দেশের সব প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা টিডিপি প্রার্থী ডঃ চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। তাঁর মোট সম্পত্তি ৫৭০৫ কোটি টাকার। অন্যদিকে দরিদ্রতম প্রার্থীর মোট সম্পদ মাত্র ৭ টাকা! তিনিও অন্ধ্রপ্রদেশেরই। নির্দল প্রার্থী কাট্টা আনন্দবাবু।