বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গত ২৮এপ্রিল থেকে তমলুক শহরে হাসপাতাল মোড়ে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে এই কর্মসূচি। শনিবার গোটা রাজ্য থেকে দুই সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব তমলুকে এসেছিল। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন জমায়েত বেশি ছিল। অভিজিৎবাবুর মনোনয়ন উপলক্ষ্যে শহরের রাজবাড়ি মাঠ থেকে বিশাল র্যালি বের করে বিজেপি। সেই র্যালি শহর ঘুরে হাসপাতাল মোড়ে আসার পরই উত্তেজনা চরমে ওঠে। অবস্থান মঞ্চের স্লোগান নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পুলিসের কাছে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি রে রে করে মঞ্চের দিকে তেড়ে যায়। ইট, পাথর, জুতো এবং চেয়ার ছোড়া হয়। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা দমে না গিয়ে বিজেপি বিরোধী স্লোগান দেন। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। পুলিস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিন হাসপাতাল মোড়ে গণ্ডগোল বাধার আশঙ্কা ছিলই। তমলুক থানার এক এসআইয়ের নেতৃত্বে ছ’-সাতজন পুলিসকর্মী মঞ্চের কাছে ছিলেন। বিজেপি কর্মীরা তেড়ে যাওয়ার সময় পুলিসকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পদস্থ পুলিস অফিসাররা র্যাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন চিত্ত মাইতি এবং পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় প্রমুখ আসেন।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বামদেব গুছাইত বলেন, এদিন আমাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করার জন্য শাসকদল বহিরাগতদের জড়ো করেছিল। আমাদের মিছিল লক্ষ্য করে কুরুচিকর ভাষায় স্লোগান দেওয়া হয়। আপত্তি করার পরও ওরা কর্ণপাত করেনি। আমাদের কর্মীরা তার প্রতিবাদ করেছেন। কোনও আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিজন সরকার বলেন, বিরোধী দলনেতা এবং তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর আক্রমণ করল। জুতো ছুড়ে মারা হয়েছে। চেয়ার ভাঙা হয়েছে। একজন শিক্ষিকা জখম হয়েছেন। আমরা বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর করব।