বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
১৭ এপ্রিল থেকে দক্ষিণবঙ্গে টানা তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলছে। আজ, শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও স্থানে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এজন্য ‘লাল’ কিংবা ‘কমলা’ সতর্কতা দেওয়া হয়নি। কলকাতায় এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্য অংশে অস্বস্তিকর গরম থাকবে আজ। শুক্রবারও কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতাসহ কিছু জায়গায় এদিন তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ছিল না। তবে কয়েকটি জায়গায় সাধারণ বা তীব্র তপপ্রবাহ ছিল। দক্ষিণবঙ্গের উষ্ণতম স্থানের তকমা শুক্রবারও ছিল কলাইকুণ্ডার (৪৪.৬ ডিগ্রি) দখলে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পানাগড় (৪২.৫ ডিগ্রি)।
রবিবার থেকে রাজ্যের কোথাও তাপপ্রবাহের সতর্কতা নেই। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। এতদিন পশ্চিমী ও উত্তর-পশ্চিমী শুষ্ক ও গরম হাওয়া প্রবেশের জন্য তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলছিল। এবার বঙ্গোপসাগর থেকে বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে সক্রিয় জলীয় বাষ্প প্রবেশ করতে শুরু করবে। এর জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
বায়ুমণ্ডলের এই পরিবর্তনের প্রথম প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গে। আজ, শনিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায় বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির মাত্রা রবিবার থেকে বাড়বে। সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির মাত্রা ও ব্যাপ্তি বাড়বে।