বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
গো-বলয়ে গেরুয়া শিবিরের একমাত্র ইউএসপি—মেরুকরণ। আর সেটাই নাপসন্দ মমতার। বারবার বিভাজনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। যে দু’টি সভা এদিন মমতা করেছেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও জমায়েতের নিরিখে তা অতীতের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙেছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। জনসমুদ্রের সিংহগর্জনকে সাক্ষী রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘অসমে কী হয়েছে! হিন্দু দরদী? অথচ এনআরসি করে হিন্দুদেরই নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আবার সিএএ করতে চাইছে। নাগরিকদের নাগরিক হওয়ার পরীক্ষা দিতে হবে। সবাইকে জেলে পাঠিয়ে দেবে। আপনারা কি জেলে যেতে চান? হিন্দু, আদিবাসী, সংখ্যালঘু সবার অধিকার কেড়ে নেবে। জাতি, ধর্ম, সংবিধান বিক্রি করে দিয়েছে। এবার দেশ বিক্রি করার পালা।’ এই পর্বেই নাম না করে মোদি-শাহকে মমতার আক্রমণ—‘নিজের অধিকার চাইলে চোর-ডাকাত, মধু-বিধুদের দূর করুন! দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড এই মধু-বিধু। ওঁনারাই একমাত্র সৎ, বাকি সবাই চোর! বিজেপি ওয়াশিং মেশিন। সব চোর, ডাকাত আর মাফিয়াকে সেই মেশিনে ঢুকিয়ে সাফসুতরো করা হচ্ছে।’ গত দু’দিন ধরে মধু-বিধু বলে নির্বাচনী সভায় যাঁদের কথা বারবার উল্লেখ করছেন মমতা, নাম না করলেও, তাঁরা যে পদ্মপার্টির দুই শীর্ষ নেতা মোদি-শাহ, তা স্পষ্ট বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই পর্বে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘কমিশনে নিজেদের মনোনীত লোক বসিয়েছে বিজেপি। তাদের অফিস থেকে যা লিখে দেওয়া হচ্ছে, সেটাই করছে কমিশন।’ মমতার তোপ, ‘সাধারণ দেশবাসীর নিত্যদিনের সমস্যা... মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে তো একটাও শব্দ তাঁর মুখে শোনা যায় না! ওদের কাউকে প্রশ্ন করলেই রামমন্দির, জি-২০ সম্মেলনের কথা বলে। কিন্তু মানুষের সমস্যা নিয়ে মোদিবাবুর মুখে একটাও কথা আপনারা শুনতে পান? শুধুই ভাঁওতা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। সবটাই বিজেপির জুমলা।’