বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০-১৫ দিন আগে আচমকা বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, ভোল্টেজ এতটাই কমে গিয়েছে যে, পাম্প চালানো যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত দত্ত, নিবেদিতা রায়চৌধুরীর কথায়, তিন-চার দিন ভুগতে হয়েছে। বাড়িতে জল আসছিল না। তারপর স্থানীয় কাউন্সিলার জলের গাড়ি পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, বিদ্যুতের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বারবার ভোল্টেজ বাড়ছে-কমছে। সন্ধ্যা নামলে অন্ধকার নামছে পথঘাটে। রবীন্দ্রপল্লি, আশুতোষপল্লি, রায়পুর, বাঘাযতীন জি ব্লকে রাস্তার বাতিস্তম্ভে আলো বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। সিইএসসি’র দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এলাকাবাসী। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় বহু আলো বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েকবার করে লোডশেডিংও হচ্ছে। যার জন্য বর্তমানে ওয়ার্ডে তিনটি জেনারেটর কাজ করছে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না। ভোল্টেজ এতটাই কম যে, পুরসভার পাম্প চালাতেও অসুবিধা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিইএসসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
একই পরিস্থিতি গরফা, সন্তোষপুর, রাসমণি বাগান অঞ্চলে। সেখানেও দিনে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। গরফার বাসিন্দা স্নেহা মজুমদারের কথায়, এই গরমে ভরদুপুরে এক-দেড় ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না। রাতেও বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। কী অবস্থায় আছি, বুঝতে পারছেন! স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ বেড়েছে এলাকায়। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক প্লট, সুইট ল্যান্ড, কালিকাপুর এবং ইস্টার্ন পার্ক এলাকাতেও পানীয় জল নিয়ে দুর্ভোগে এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, একদিকে জলস্তর নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপগুলি থেকে পাম্প করে জল তোলা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, ভোল্টেজ কম থাকার কারণেও পাম্প চালিয়ে বাড়ি বাড়ি জল পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার ১১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, খুব খারাপ পরিস্থিতি চলছে। রোজ দিনে কয়েকবার করে কারেন্ট চলে যাচ্ছে। তিন-চারটি এলাকাতে নিয়মিত জলের গাড়ি পাঠাতে হচ্ছে। লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। যদিও, এই প্রসঙ্গে সিইএসসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর তথা মুখপাত্র অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোথাও কোনও সমস্যা নেই। যে অভিযোগের চিঠি এসেছে, সেটা আমার খতিয়ে দেখছি। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।