বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
শাহ পূর্ব বর্ধমান থেকে দাবি করেছিলেন, রেশনের চাল বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। দিদি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলির নাম বদলে নিজের নামে চালাচ্ছে। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন অঙ্ক কষে স্পষ্ট বলেন, রেশনের চাল রাজ্য সরকার দিচ্ছে। কেন্দ্রের কোনও অবদান নেই। বিজেপি চেয়েছিল ফুড কর্পোরেশনের পচা চাল দিতে। আমরা ঠিক করেছিলাম চাষিদের থেকেই সরাসরি চাল কিনব। তাতে চাষিরা উপকৃত হবেন। তাঁদেরকে বাইরে কোথাও যেতে হবে না। আর মোদিবাবু রোজ বিজ্ঞাপন দিয়ে বলছে তারাই নাকি চাল দিচ্ছে। তারা মিথ্যা কথা বলছে। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, মধু-বিধু মিথ্যাচার করে চলছে।
শাহ বাংলায় এসে দাবি করেছিলেন, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের কাজ কেন্দ্রীয় সরকার করছে। দিদি এই প্রকল্পকে নিজের নামে চালাচ্ছেন। তৃণমূল নেত্রী কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে জমি দিচ্ছে। দেখভালের কাজ করছে। ৪০শতাংশ টাকা দিচ্ছে। আর মধু-বিধু দালালি করে চলেছে। ১০০দিনের টাকা দিচ্ছে না। তাতে মোদির কিছু যায় আসে না। কারণ উনি গরিবের মুখ চেনেন না। মধুবাবু কয়েকদিন আগে এখানে এসে মিথ্যা কথা বলে গিয়েছেন। বলছে বিভিন্ন কাজে নাকি ইউটিলাইজ সার্টিফিকেট দিইনি। একদম মিথ্যা কথা।
অমিত শাহ বর্ধমানে এসে সিএএ কার্যকর করার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় মতুয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে তাঁরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন। এদিন তৃণমূলের সভায় এসেছিলেন সুবল বিশ্বাস, সুদিন বিশ্বাসরা। তাঁরা বলেন, দিদির গ্যারান্টিতে ভরসা আছে। বিজেপি সরকার যতই আমাদের বিপদে ফেলার চেষ্টা করুক না কেন দিদি থাকতে তা করতে পারবে না। বিনা শর্তে নাগরিকত্ব দিলে কোনও অসুবিধা হতো না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত নথি চাইছে তা আমাদের কাছে নেই। এদিন মেমারির গন্তার ফুটবল মাঠে তৃণমূল নেত্রীর সভায় ভিড় উপচে পড়ে। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বাংলার উপর মোদিবাবুর খুব রাগ। বাংলাকে দেখলেই তিনি লুচির মতো ফোলেন। মধু-বিধুবাবুরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। বিজেপিকে বিদায় জানানোর জন্য বাংলা বড় ভূমিকা নেবে। তিনি আরও বলেন, বাংলায় বিজেপির দু’টি চোখ। একটি সিপিএম অন্যটি কংগ্রেস। বাংলায় জোট হয়নি, ঘোঁট হয়েছে।
জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোটটা দিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি কারও জন্য কিছু করেনি। শুধু মিথ্যা ভাষণ দিয়ে গিয়েছে।