নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অপর্যাপ্ত শিক্ষক, লটারির মাধ্যমে পড়ুয়া ভর্তি, বহু ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর ঘাটতির মতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মেধা তালিকায় উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বিভিন্ন সরকারি স্কুলের। প্রথম দশের পাঁচজন রয়েছে সরকারি স্কুল থেকেই। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী সাম্যপ্রিয় গুরু পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে বীরভূমের ইলামবাজার নিউ ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা বাঁশুরি। এছাড়া অষ্টম স্থানাধিকারী ঋদ্ধি মল্লিক নদীয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল, নবম স্থানাধিকারী ঝাড়গ্রামের রানি বিনোদমঞ্জরি গভর্নমেন্ট হাইস্কুল এবং দশম স্থানাধিকারী সৌভিক দত্ত বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। যদিও, হিন্দু, হেয়ার বা বেথুনের মতো প্রাচীন সরকারি স্কুলগুলি মেধা তালিকায় স্থান করে নিতে পারেনি। 
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির হিসেব অনুযায়ী, চিরাচরিত গভর্নমেন্ট স্কুলগুলি থেকে মোট ২ হাজার ৯৮৪ জন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিকে বসেছিল। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৯৪৬ জন। পাশের হার ৯৮.৭৩ শতাংশ, যা রাজ্যের সার্বিক পাশের হারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। সব মিলিয়ে ১৮১ জন ৯০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে (গ্রেড এএ) নম্বর পেয়েছে। তা মোট সরকারি স্কুলের পড়ুয়ার ৬.০৭ শতাংশ। কলকাতার সরকারি স্কুলগুলির মধ্যে বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের ছাত্র সপ্তর্ষি মণ্ডল (৬৬৯) নম্বর পেয়েছে। কলকাতার অধিকাংশ সরকারি স্কুল থেকেই পাশের হার ১০০ শতাংশ।
চিরাচরিত ৩৯টি সরকারি স্কুল ছাড়াও বিআরজিএফ প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১০০টি মডেল স্কুল এবং নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট স্কুল (এনআইজিএস) রয়েছে। এমনই একটি স্কুল থেকে তৃতীয় হয়েছেন পুষ্পিতা। যদিও, তেমন স্কুলগুলির সার্বিক তথ্য এদিন মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর বক্তব্য, শিক্ষক, গ্রন্থাগারিকের অভাব সত্ত্বেও সামগ্রিক ফল রাজ্যের শিক্ষার মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এটাকে সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ফল নয় বলেই তাঁর বিশ্বাস। সমস্ত সুযোগ সুবিধা থাকলে এই ফল আরও অনেক ভালো হতো।