আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
পশ্চিমাঞ্চলের ছয়টি জেলা এবং পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের মোট আটটি জেলায় টানা তিনদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে এই তিনদিন তাপপ্রবাহ থাকবে। আগামী কয়েকদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৬ ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে। সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সেদিনও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, সোমবারের পর তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করছে বৃষ্টি হওয়ার উপর। সোম ও মঙ্গলবার রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রচুর ঝড়বৃষ্টির কোনও ইঙ্গিত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আবহাওয়াবিদরা পাননি।
আজ শুক্রবার উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। শুক্রবারের পর ওই এলাকায় ঝড়বৃষ্টি কমবে। আজ শুক্রবার কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভোট। আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, আজ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সেই সম্ভবনা কোচবিহারের ক্ষেত্রে কম। দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে অবশ্য দক্ষিণবঙ্গের মতোই তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। বালুরঘাট ও মালদহে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮-৩৯ ডিগ্রির আশপাশে ছিল।
বুধবারের তুলনায়, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে গরমের মাত্রা মোটামুটি একই ছিল। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে ৩৯.৭ ডিগ্রি হয়েছে। বারাকপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। আজ কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াবে বলে অনুমান করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে এপ্রিলে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পশ্চিমাঞ্চল ছাড়া, রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাতেও বুধবার তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি ছিল। সমতলে সর্বোচ্চ অন্তত ৪০ ডিগ্রি এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে তাপপ্রবাহ বলা হয়। কিন্তু উপকূল এলাকায় তাপপ্রবাহ বলা হয়—সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি ছাড়ালে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ ডিগ্রি বেশি হলে।
পর্যটন কেন্দ্র দীঘায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৭.৯ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি ছিল। ডায়মন্ডহারবারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪০.৫ ডিগ্রি) ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৬ ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫.১ ডিগ্রি বেশি ছিল ক্যানিংয়ে (৪১ ডিগ্রি)। হলদিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪০.৭) স্বাভাবিকের চেয়ে ৭.২ ডিগ্রি বেশি ছিল। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে এদিন উষ্ণতম ছিল মেদিনীপুর (৪২ ডিগ্রি)। পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় সব স্থানেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল।