বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সংস্থা আইপ্যাক কেন্দ্র ধরে ধরে তৃণমূল স্তরে সমীক্ষা চালিয়েছিল। তারই জেরে জনসংযোগে দলের নেতা-কর্মীদের খামতি থাকার বিষয়টি উঠে এসেছিল। সেই অবস্থার মোকাবিলায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে বিধায়কদের দিয়ে শুরু করে ধাপে ধাপে পুরসভা ও পঞ্চায়েত স্তরে সেই কর্মসূচিতে গোটা দলকে জড়িয়ে দিয়েছিল টিম পিকে। সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ থেকে পরামর্শ শোনার জন্য ‘দিদিকে বলো’র মোবাইল নম্বর কার্যকর ভূমিকা নিয়েছিল। পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে রাতে থাকার মতো অভিনব পদ্ধতিতে জনসম্পর্ক গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী এই পেশাদারি জনসম্পর্ক প্যাকেজ নিয়ে আসরে নেমেছিলেন। আইপ্যাকের দেওয়া নির্দেশ মেনে নেতারা কাজ করছেন কি না, তাও প্রতি মুহূর্তে টিম প্রশান্তের নজরদারিতে ছিল। ফলে, ‘দিদিকে বলো’ অনুসরণ করে জনসংযোগের যেসব দাওয়াই তাঁদের দেওয়া হয়েছিল, তা কাজে লাগাতে কতটা উদ্যোগী হয়েছেন, তার রিপোর্ট কার্ড নিয়েই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তাঁর সংসদীয় দপ্তরে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক পর্যালোচনায় বসেছিলেন। সেখানে হাজির ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার ও বুধবার আগাগোড়া ছিলেন এই পর্যালোচনা বৈঠকে। প্রথম দিন হাওড়া ও হুগলি, দ্বিতীয় দিনে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এবং বুধবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়কদের নিয়ে আলোচনা হয়। হাওড়া ও হুগলি বাদ দিলে বাকি জেলাগুলিতে বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের শোচনীয় ফলাফল হয়। হুগলিরও ফলাফল আগেকার নির্বাচনী সাফল্যের তুলনায় মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। ঘটনাচক্রে, তফসিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এইসব জেলার উপর বাড়তি নজর দেওয়ার লক্ষ্যে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের সঙ্গে। আমতলার এই বৈঠকে মুখ্যত ‘দিদিকে বলো’ কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। সেখানেই জানানো হয়, অবিলম্বে পরের দফার জনসংযোগ অভিযানে নেমে পড়তে হবে। উত্তরবঙ্গের এক বিধায়ক জানান, দলকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রথম দফায় যেভাবে গ্রামে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে, সেভাবেই ফের করতে হবে। এবার অন্য কোনও গ্রামে যেতে হবে। কোন গ্রাম, তা টিম পিকের অফিস থেকেই বাছাই করে জানিয়ে দেওয়া হবে। আরেক বিধায়কের দাবি, এই বৈঠক একতরফা হয়নি। নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও যথেষ্ট সুযোগ তাঁরা পেয়েছেন। তিনি বলেন, কালক্ষেপ করার কোনও সুযোগই নেই। উত্তরবঙ্গের এক জেলা নেতা বলেন, মিটিংয়ের পরের দিনই আইপ্যাক দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচার সামগ্রী জেলায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, দল যে এই প্রকল্পকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, এই ঘটনাতেই তা স্পষ্ট।