পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ভারতের সংবিধান সহ বাংলার সব মানুষের স্বার্থ রক্ষাই তাঁর শপথ। এটা কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নয়, তিনি মানুষকে রক্ষার কাজ করেই ছাড়বেন। এদিন মধ্য কলকাতায় এক সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনকার। গত শুক্রবার থেকে তাঁকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেবিষয়ে সজাগ ধনকার এদিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আটকের খবরে তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আচার্য হিসেবে তাঁর হস্তক্ষেপের আগে তিনি এনিয়ে যথেষ্ট দ্বিধায় ছিলেন। এদিন সেকথা নিজেই কবুল করেছেন। তাঁর দাবি, নিজেকে প্রশ্ন করেছি। ওই পরিস্থিতিতে সেখানে যাওয়া উচিত কি না, অভিভাবক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলা উচিত কি না, তা নিজের বিবেকের কাছেই জানতে চেয়েছি। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যে কঠিন ছিল, তাও জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, সবদিক ভেবে তিনি অভিভাবক হিসেবে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। সর্বোপরি তাঁর যাওয়ার পরপরই উত্তেজনা প্রশমিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ধরকার বলেন, সেদিন ছাত্রছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উভয়েই সহযোগিতা করেছে তাঁর সঙ্গে। আচার্য হিসেবে পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক, দাবি রাজ্যপালের।
উল্লেখ্য, তাঁর ক্যাম্পাসে যাওয়া নিয়ে একদিকে যেমন শাসকদল তৃণমূল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে, তেমনই পড়ুয়ারা ওইদিন এবিভিপির তাণ্ডবের জন্য পরোক্ষে রাজ্যপালের উপস্থিতিকেই দায়ী করেছে। রাজ্যের শাসকদলের মতে, একটি নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে ও মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে কান না দিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে ক্যাম্পাসে গিয়েছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী। বিক্ষোভকারী ওই বাম ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, রাজ্যপাল ক্যাম্পাস ছাড়তেই দুষ্কৃতীরা ছাত্র সংসদের ঘর সহ ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালায়। ব্যাপক ভাঙচুর করে। আগুন ধরানো হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তার কথা তুলে রাজ্যপাল বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সমালোচনা করলেও এবিভিপির তাণ্ডব নিয়ে কিছু বলেননি। ঘটনাচক্রে, এদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তিনি যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেও ক্যাম্পাসে ভাঙচুর নিয়েও কোনও মন্তব্য করেননি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে শাসকদলের সংঘাতের পটভূমিতেই এদিন চিকিৎসকদের অনুষ্ঠানে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন ধনকার। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারত একটি জাতীয় বিমা প্রকল্প। গোটা দেশে তা লাগু হলেও, এরাজ্যে হয়নি। তাঁর দাবি, একটি সর্বভারতীয় প্রকল্পে কারওর ছবি (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী মোদির) রয়েছে বলে তার সুবিধা থেকে রাজ্যবাসীকে বঞ্চিত করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে তাঁর পরামর্শ, আলোচনা করে অবিলম্বে ওই প্রকল্প চালু করা উচিত।