বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গ্রেপ্তারিতে রক্ষাকবচ চেয়ে এবং তাঁকে ডাকার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে— এই দু’টি আবেদন নিয়ে রাজীব কুমার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলার পর শুক্রবার বেলা তিনটে নাগাদ আদালত রায় ঘোষণা করে। বিচারপতি মধুমতী মিত্র তাঁর রায়ে বলেছেন, আবেদনকারী ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ দাবি করতে পারেন না। তাঁকে ডাকার আগে আদালতের অনুমতি দরকার, এই দাবিও গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকী সিবিআই যাতে তাঁকে ফের দেখা করার নোটিস না পাঠায়, সেই আবেদনেও সাড়া না দিয়ে আদালত বলেছে, সিবিআইয়ের এক্তিয়ার খর্ব করার সুযোগ নেই। বরং, তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি দেখা যায়, এই আবেদনকারী আদালতগ্রাহ্য কারণে অভিযুক্ত, তাহলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যেতেই পারে।
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্য হিসেবে ছিলেন রাজীব। সিটের অন্যান্য অফিসাররা সিবিআই জেরায় সাড়া দিয়েছেন। তিনি ব্যতিক্রম হতে পারেন না। এই অভিমত দিয়ে আদালত বলেছে, জেরায় সাড়া দিলে তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে, এই আশঙ্কা অমূলক। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে আটক করা হলে তাঁর সম্মানহানি হবে, এই যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। বরং তিনি জেরা এড়িয়ে যাচ্ছেন, এই অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে।
রায়ে এও বলা হয়েছে, একমাত্র যুক্তিসম্মত কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করতেই হবে। জেরা না হলে কে সাক্ষী বা অভিযুক্ত, তা ঠিক করা তদন্তকারীর পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর আদালত বলেছে, তাঁকে গ্রেপ্তার না করার জন্য ৩০ মে হাইকোর্ট যে রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছিল, তাও এদিন প্রত্যাহার করা হল।
রায় বেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই সিবিআই কর্তারা দিল্লিতে কথা বলেন। সেখান থেকে নির্দেশ আসে, প্রাক্তন পুলিস কমিশনারকে ডাকতে হবে আজ, শনিবার। কারণ এর আগে যেসব প্রশ্নের যথাযথ জবাব দেননি তিনি, এবার তা জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।